দুই বছর পর প্রাথমিকের বদলি বন্ধের আদেশ বাতিল
অনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ ছিল প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের বদলি একটি আদেশের মাধ্যমে বাতিল করা হয়। এবার সেই আদেশ প্রত্যাহার করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
সোমবার ডিপিই পরিচালক (পলিসি এন্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিকে বদলির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষকরা।
এদিকে আজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমকে জনপ্রশাসনে ওএসডি করা হয়েছে। অবসর গ্রহণে সুবিধার কারণে প্রত্যেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এভাবে অবসরে পাঠানো হয়।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন চলতি মাসে প্রাথমিকে শুরু হচ্ছে বদলি কার্যক্রম। তবে বদলি চলবে শুধুমাত্র উপজেলার অভ্যন্তরে সীমাবদ্ধ থাকবে।
দীর্ঘদিন বদলি প্রক্রিয়া বন্ধের কারণ সম্পর্কে এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। শূন্য পদের ভিত্তিতে এই নিয়োগ হওয়ার কারণে বদলি চালু করা হলে হ-য-ব-র-ল তৈরি হতো। যেকারণে বদলি প্রক্রিয়া চালু করা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অনেক উপজেলা আছে যেখানে স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা কম। আবার অনেক উপজেলায় শিক্ষার্থী অনুযায়ী শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। মূলত এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। যেকারণে শুধু মাত্র উপজেলার অভ্যন্তরে বদলি চালু করা হচ্ছে। তবে জেলাভিত্তিক ও বিভাগীয় পর্যায়ে বদলি চালুর কথা এখনো ভাবছে না অধিদপ্তর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন বদলি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমরাও অবগত আছি। কিন্তু সুযোগ দিলেই মানুষ এর অপব্যবহার করে। যে কারণে জেলা পর্যায়ে ও বিভাগীয় বদলি বন্ধ থাকবে। কবে এই পর্যায়ের বদলি উন্মুক্ত করা হবে এই বিষয়ে অধিদপ্তর এখনই ভাবছে না বলে জানান তিনি।
এর আগে মহামারীর কারণে দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন এক শিক্ষক। নারায়ণগঞ্জ সদরের চর সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তানিয়া আক্তারের পক্ষে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ নোটিশ পাঠান।
শিক্ষকরা জানান, দুবছরের বেশি সময় প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম বন্ধ। ফেব্রুয়ারিতে অনলাইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। মার্চে বদলি কার্যক্রম শুরুর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।