সিরাজগঞ্জে নৌকা তৈরির ধুম
রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: আসছে বর্ষাকাল। বর্ষার আগমনে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদী, চলনবিলসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বাড়ছে। বন্যার পানিতে যমুনা নদী, চলনবিলসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর নিচু এলাকাসহ মাঠ-ঘাট এখনও তলিয়ে না গেলেও আসছে বর্ষাকে মোকাবিলা করার জন্য বিলাঞ্চল ও নদী পারের মানুষ নৌকা তৈরি ও মেরামতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
বন্যার দেখা মিললেই অনেকেই এই কাজের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরেন। কেউ করছেন নৌকা তৈরি, কেউবা আবার করছেন মেরামত। আর এসব ছোট ছোট নৌকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে।
.
জানা যায়, জেলার যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলা কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরসহ চলনবিলের অধিকাংশ এলাকাই বন্যা প্রবণ। ফলে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায় এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। তখন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। এ সময় নদী ও চলনবিলের মানুষ নৌকা দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকেন।
তা ছাড়া যমুনা ও চলনবিলে মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে থেকেই নৌকা তৈরি ও মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়। বিভিন্ন গাছের কাঠ দিয়ে ১০ থেকে ১২ হাত নৌকা তৈরি করতে খরচ পড়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা। যা ব্যবহার হয় মাছ শিকার ও সীমিত সংখ্যক মানুষ পারাপারের জন্য। এ ছাড়াও দূরে ভ্রমণ ও বেশি মালামাল বহনের জন্য তৈরি করা হয় ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা।