খাবারের জন্য দুর্ভিক্ষ, হাহাকার এসব হবে না: কৃষিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, মানুষের আয় বেড়েছে। সে কারণে আগে যারা এক মিল খেত এখন তারা দুই মিল খান। খাদ্যে আমরা অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাবারের জন্য দুর্ভিক্ষ, হাহাকার— এসব হবে না, ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, তবে গমের দাম বেড়েছে। আটার দাম যখন বাড়ে তখন চালের ওপর চাপ বেশি পড়ে। অন্যদিকে, বড় করপোরেট হাউজগুলো প্যাকেটজাত চাল বাজারজাত করছে, তাদের চালের দাম অনেক বেশি। আমি তাদের দাম জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে, প্যাকেটজাত চাল ৮২ টাকায় বিক্রি করে। আমি বললাম, এই চাল তো খোলা বাজারে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। তারা বললো, আমাদের চাল তো এই ৮২ টাকাতেই চলে, অনেক চাহিদা। মানুষ কিনতে পারে, তাই চাহিদা বেশি।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষের চিকন চাল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সেই চালের দাম বর্তমানে ৬৫/৬৬ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০ টাকাও হতে পারে। অথচ মোটা চালের দাম ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা। দুই মাসে এই চালের দাম কিন্তু বাড়েনি।
গ্রামবাংলার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ একটা বিশাল জনগোষ্ঠী চাল খায়। চাহিদা মিটিয়ে সরকার এসব মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পটাশিয়াম সার আগে আমরা ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলারে (প্রতি টন) কিনতাম। গত পারচেজ (কেনাকাটা)-এর সময় এটা ১২০০ ডলার লেগেছে। তার মানে বলা যায় চার গুণ বেড়েছে। সারে আমরা অনেক বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। এটা না দিলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন কমে যেত। আমরা এমনটা হতে দেইনি। অথচ ভর্তুকি দিতে হয়েছে অনেক বেশি।
করোনার কারণে প্রথা ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরের ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে সীমিত পরিসরের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অর্থাৎ তিন বছর পর আজ (শুক্রবার) স্বাভাবিক নিয়মে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের জন্য ৫১তম। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০তম বাজেট হলেও ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার টানা বাজেট দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ উপস্থিত আছেন।