ঢাকা | মে ১৮, ২০২৪ - ২:৩২ অপরাহ্ন

মেয়ের মরদেহ কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বাবা

  • আপডেট: Friday, June 10, 2022 - 3:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: অসুস্থ মেয়ে শিশুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মেয়েটি।

মেয়ের মরদেহ বাড়িতে নিতে হাসপাতালের কর্মীদের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আকুতি জানায় মেয়েটির পরিবার। তবে এতে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। মৃত মেয়েটির পরিবারও কোনো অ্যাম্বুলেন্সের যোগাড় করতে পারেনি। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়েই মেয়ের মরদেহ কোলে নিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেছেন এক বাবা।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলায়। শুক্রবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

মৃত ওই শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে চিকিৎসার জন্য গত সোমবার প্রথমে মধ্যপ্রদেশের বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার ( ০৭ জুন) তাকে পার্শ্ববর্তী দামোহ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেদিনই মারা যায় শিশুটি।

শিশুটির দাদা মনসুখ আহিরওয়ারের অভিযোগ, মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতালের কর্মীদের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে আমরা মরদেহকে একটি কম্বলে মুড়িয়ে বক্সওয়াহার উদ্দেশ্যে একটি বাসে চড়ি। কারণ আমাদের কাছে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থা করার জন্য যথেষ্ট টাকা ছিল না।

মেয়েটির বাবা লক্ষ্মণ আহিরওয়ার জানান, বক্সওয়াহায় পৌঁছানোর পর মরদেহটি পাউদি গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে তারা সেখানকার নগর পঞ্চায়েতকে একটি গাড়ি সরবরাহ করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তারাও কোনো ধরনের গাড়ির ব্যবস্থা করতে অস্বীকার করে।

দামোহ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মমতা তিমোরি অবশ্য মৃত মেয়ের পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমন ঘটনার জন্য কেউ আসেনি দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে হার্স মৃতদেহ বহন করার গাড়ি আছে। এছাড়াও আমরা রেড ক্রস বা অন্য কোনো এনজিও থেকেও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারি।

ভারতের এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার একজন ব্যক্তিকে তার ভাইয়ের মৃতদেহ স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে হাতেটানা একটি গাড়িতে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল।

এছাড়া একই রাজ্যের ভগবানপুরা খারগোন জেলায় এক গর্ভবতী নারী হাসপাতালে পৌঁছতে না পেরে পথেই মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার জন্য অনেক চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হন।

সূত্র: এনডিটিভি

সোনালী/জেআর