বাজেটে ব্যয় বাড়লো ১৪ শতাংশ
অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রভাবে গতি হারানো অর্থনীতির গতি ফেরাতে তৎপর গোটা বিশ্ব। সেই তৎপরতা রয়েছে বাংলাদেশেও। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অনেকটাই স্থিতিশীল। এবার করোনার ধাক্কা সামলে সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ফেরার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে ১৪.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৫.২৩ শতাংশের সমান।
মুস্তফা কামালের দেয়া বিদায়ী অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের ১২ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭.৪ শতাংশের সমান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালকে গতবছর বাজেট দিতে গিয়ে জীবন ও জীবিকার কঠিন সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করতে হয়েছিল। ইউক্রেইন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অস্থিরতার চ্যালেঞ্জ এবার তার সামনে নতুন সংকট নিয়ে হাজির হয়েছে। এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন।’
কোভিড সংক্রমণ এড়াতে গত দুই বছর বাজেট অধিবেশন বসেছিল স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায়। সদস্যদের সবার একসঙ্গে অধিবেশনে যোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি, বাদ দেয়া হয়েছিল অনেক আনুষ্ঠানিকতাও।
সংসদে ঢোকার জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ থাকা এবারও বাধ্যতামূলক। তবে এবার বেশিরভাগ কড়াকড়ি কমানো হয়েছে।
২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের আগের বাজেটগুলোতে উন্নয়ন খাত বরাবরই বেশি গুরুত্ব পেয়ে আসছিল। কিন্তু মহামারীর ধাক্কায় গত দুইবছর সেই ধারায় কিছুটা ছেদ পড়ে।