ঢাকা | মে ১৫, ২০২৫ - ১১:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম

কোরবানির চাহিদার চেয়ে বেশি পশু রাজশাহীতে

  • আপডেট: Thursday, June 9, 2022 - 10:37 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: এবার কোরবানি ঈদের জন্য রাজশাহীতে পর্যাপ্ত পশু লালন পালন করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাবে, চাহিদার চেয়ে ১০ হাজার পশুই আছে এই জেলায়। জুনের শেষভাগে এসেই রাজশাহীর পশুহাটগুলো বেচাকেনায় জমে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার করোনা না থাকার কারণে হাট জমবে। ভাল দামও পাবেন খামারিরা। প্রাণিসম্পদ বিভাগ এমনই আশা করছে। তবে সাধারণ খামারিরা পশুর ভাল দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁরা বলছেন, চড়া দামে খাবার কিনে পশুকে খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষের হাতে এখন টাকা নেই। তাই দাম নিয়ে শঙ্কা তাদের।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছাগল আছে রাজশাহীতে। এই বিভাগে ২৮ লাখ ২২ হাজার ৬৩৯টি কোরবানিযোগ্য ছাগল আছে। ছাগলের সঙ্গে ভেড়ার সংখ্যাও বেশি রাজশাহী বিভাগে। বিভাগের আট জেলায় আছে চার লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭টি ভেড়া। এছাড়া ১১ লাখ ৩৯ হাজার ৬১৯টি গরু ও ২১ হাজার ৫২১টি মহিষ আছে রাজশাহীতে। রাজশাহী বিভাগের এক লাখ ৩০ হাজার ২৬৫ জন খামারি এসব পশু লালন-পালন করেছেন। এসব পশু দিয়েই রাজশাহী বিভাগের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, ১৬ হাজার ৭৯ জন খামারির কাছে আছে ১ লাখ ২১ হাজার ৩৭২টি গরু, ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৩৫টি ছাগল, ৩৮ হাজার ২৪৫টি ভেড়া ও ৩ হাজার ২১১টি মহিষ আছে। মোট কোরবানির জন্য পশু আছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৫২টি। জেলায় এবার সম্ভাব্য চাহিদা ৩ লাখ ৮২ হাজার ১১৮টি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ১০ হাজার পশু বেশি আছে রাজশাহী জেলায়।

রাজশাহীর খামারি সওদাগর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল বলেন, আগে তিন হাজার টাকা খরচ করলেই একটা গরু পোষা যেত। এখন গো-খাদ্যের এত দাম যে মাসে খরচ সাত হাজার টাকা পড়ে যাচ্ছে। তাই কোরবানির বাজারে খামারিরা বেশি দাম চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মানুষের হাতেও টাকা কম। তাই পশুর দাম কেমন উঠবে তা নিয়ে একটা শঙ্কা আছে। তাও মানুষ কোরবানি দেয়, যেভাবেই হোক দেবে।

জেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, এবার করোনা নেই। আবার গবাদি পশু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে। তাই হাটে দাম বেশি থাকবে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে কত গবাদিপশু আছে তার একটা প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, জেলায় পশুর কোন সংকট নেই। রাজশাহীর পশু দিয়ে এ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলাতেও পাঠানো যাবে।

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS