ঢাকা | নভেম্বর ১৮, ২০২৪ - ৩:৪৫ অপরাহ্ন

৮৭ ঘণ্টা পর নিভলো কন্টেইনার ডিপোর আগুন

  • আপডেট: Wednesday, June 8, 2022 - 7:06 pm

 

অনলাইন ডেস্ক:  অবশেষে নিভল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। বন্দরনগরীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ৮৭ ঘণ্টা পেরিয়ে পুরোপুরি নিভে গেলো সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ আগুন। এর মধ্যেই ডিপো কর্তৃপক্ষ শুরু করেছে কনটেইনার সরানোর কাজ ।

বুধবার (৮ জুন) বেলা ১২ টা ৪০ মিনিটে ডিপোর আগুন সম্পূর্ণ নিভে যায়। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮-বীর এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, এখনো ২০টির মতো কনটেইনার ঠান্ডা ও ডাম্পিং করার কাজ বাকি আছে। মঙ্গলবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা থেকে বুধবার (৮ জুন) সকাল ৭টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় মাত্র ৪টি কনটেইনার নামিয়ে এনে ভেতরে তুষের মতো জ্বলতে থাকা আগুন নেভানো গেছে। এরপর পুরোপুরি ঠান্ডা হলে কনটেইনারগুলো ডাম্পিং করা হয়।

জানা গেছে, ডিপোতে দুর্ঘটনার সময় কনটেইনার ছিল চার হাজার ৩১৩টি। এর মধ্যে পণ্যভর্তি ছিল শতাধিক কনটেইনার, যার মধ্যে কমপক্ষে ২৭টিতে ছিল কেমিক্যাল। এর মধ্যে বিস্ফোরণে ১৫টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ১২টি ক্যামিকেল ভর্তি কনটেইনার নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল বলেন, আমরা সবার আগে গুরুত্ব দিয়েছি নিরাপত্তার বিষয়টি। তাই সবকিছু নিশ্চিত হওয়ার পরই আমরা অপসারণ কাজ শুরু করি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছি। আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ডিপোতো এখন আর আগুন জ্বলছে না, তবে কিছু ধোঁয়া বের হচ্ছে। এখানে গার্মেন্টস পণ্য আছে। এগুলোতে পানি দেয়ার পর ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিন্তু ডিপোর ভেতরে কোনো আগুন জ্বলছে না। ধোঁয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। নতুন করে কোনো রাসায়নিক কনটেইনার পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, কনটেইনার সরানোর কাজ চলছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর একটি তদন্ত দল অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত কাজ করছে। এ কাজে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে নৌ-বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস।

প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় প্রথম দুদিনে ৯ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৪১ জনের মৃতের খবর পাওয়া যায়। এরপর মঙ্গলবার (৭ জুন) ঘটনাস্থল থেকে আরও দুইটি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসেরই কর্মী এবং অন্যজন সিকিউরিটি গার্ড হতে পারে বলে ধারণা করে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে আজ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকা মাসুদ রানা নামে একজনের মারা যাওয়ার খবর আসে। এই নিয়ে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।