অনিয়মের প্রতিবাদ করায় বরখাস্ত করা হয়েছে, দাবি শ্রমিক নেতার
স্টাফ রিপোর্টার: জরুরি সভায় রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম জনিকে ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ বরখাস্তের পরদিন তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লাখ লাখ টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করার কারণেই তাকে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।
বুধবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালীতে সংবাদ সম্মেলন করেন জহুরুল ইসলাম জনি। আগের দিন নগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল কার্যালয়ে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের জরুরি সভায় তাঁকে সংগঠন থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে জনির বিরুদ্ধে সংগঠনের প্রায় ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করে ফ্ল্যাট নির্মাণের অভিযোগ তোলা হয়।
তবে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জনি দাবি করেছেন, গত সোমবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছিলেন। আর তাই পরদিন তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জনি বলেন, ‘১৫ মাসের হিসাব চেয়েছিলাম বলে মিটিংয়ের মধ্যেই আমাকে মারধর করা হয়েছিল। মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান নেতারা প্রতিদিন শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত করছেন। আর আমি শ্রমিকদের ভালবাসা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। তাদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না বলে প্রতিবাদ করেছি।’
জনি বলেন, ‘আমি যদি ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাত করি, তাহলে এতদিন বলা হলো না কেন? এখন আমি প্রতিবাদ করেছি বলে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এ কারণেই কেউ প্রতিবাদের সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার শ্রমিক কার্ড স্থগিত করে দেওয়া হয়।’ জনি শ্রমিক ইউনিয়নের ১৯ কাঠা জমি বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ করেন এই সংবাদ সম্মেলনে। আর তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগই অস্বীকার করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত স্বচ্ছভাবেই সব হিসাব-নিকাশ রাখা হয়। কিন্তু কোষাধ্যক্ষ জনি একাধিকবার টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। শ্রমিকরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। তাই সবাই মিলেই তাঁকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এ কারণে জনি মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছেন।