ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্ত ফের কলকাতা আদালতে

  • আপডেট: Tuesday, June 7, 2022 - 1:19 pm

অনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ ভিত্তিক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ ছয় অভিযুক্তকে মঙ্গলবার ফের তাদের আদালতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সকাল ১১টার দিকে পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আপাতত তাদের সবাইকে কোর্টের লকআপে রাখা হয়েছে। এরপর তাদের কলকাতা নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল সিবিআই-১ এজলাসে তোলা হবে।

এদিন আদালতে প্রবেশের সময় অভিযুক্তরা কেউই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।

জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডির) তরফে অভিযুক্তদের ফের জেল হেফাজতের আবেদন জানানো হবে এবং প্রয়োজনে কারাগারের ভেতর গিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কারণ, বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা তাদের কাছে।

গত ১৪ মে অশোকনগর সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই ছয় অভিযুক্তেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন ইডির হেফাজতে রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এসময় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিস পায় ইডি।

১৩ দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আদালত তাদের ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। কারাগারে গিয়েও পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে, যদিও তদন্তের স্বার্থে ইডি বা কারাগার কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে কিছুই বলতে রাজি হয়নি।

তবে পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই জানতে পেরেছেন, শুধু অশোকনগর বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগীরা গোটা ভারতজুড়ে প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। তাদেরকে জেরা করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হদিস পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাতের একটা বিশাল অংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে আবাসন খাতে। কলকাতা এবং তার উপকণ্ঠে এমন একাধিক সংস্থার খোঁজ পাওয়া গেছে যেগুলো পি কে হালদার বা তার সহযোগীদের হাতেই গড়ে উঠেছে। যদিও সেই আয়ের উৎস পি কে হালদার বা তার সহযোগিরা- কেউই দেখাতে পারেননি।

সোনালী/জেআর