রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিচার দাবি
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ড. শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর প্রশাসনিকভাবে বিচারের দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
জ্জোহা হল থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক শরীফ আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে নামিয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে তুলে দেয় হল শাখাা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে শুক্রবার হল প্রাধ্যক্ষ একরামুল ইসলাম ওই সিটে ফের শরীফকে তুলে দেয়। এ ঘটনায় হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাবি শাখার আহ্বায়ক রঞ্জু হাসান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে ছাত্রলীগ বার বার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সিট থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করছে। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ছাত্রলীগকে সমর্থন দিচ্ছে।
গণমাধ্যমের মারফত আমরা জানতে পারি শুক্রবার ড. শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলামের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ছাত্রলীগ। একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে সিটে তুলে দেওয়ায় তারা প্রাধ্যক্ষের সাথে এমন আচরণ করেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
রঞ্জু হাসান বলেন, আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা শিক্ষার্থীদের রুম বরাদ্দ দিলেও সিটে তুলে দিতে পারছেন না। এর বড় প্রতিবন্ধকতা হলগুলোতে ছাত্রলীগের দখলদারিত্ব। বরাদ্দ দেওয়ার আগেই তারা সিটগুলো দখলে নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে। বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের ছাত্রত্ব নেই। তার পরেও তারা রুম দখল করে আছে। আমরা সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের আইন করে ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আবাসিক হলগুলোতে সিট বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিলের আইন করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা এবং হলের সিট সংক্রান্ত সকল তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার দাবিও জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়ন রাবি শাখার সভাপতি শাকিলা খাতুন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক শাকিল হোসেন ও ফরিদা ইয়াসমিন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সদস্য ফুয়াদ রাতুল প্রমুখ।