দুইভাই জেলে, আবারো পুকুরখননের পাঁয়তারা
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: দুর্গাপুর উপজেলার নান্দিগ্রামের তালতলা বিলে কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুরখননের অভিযোগে দুই ভাইয়ের কারাদন্ডের তিন দিনপর আবারো তাদের শরিকরা পুকুর খননের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে কৃষকেরা তাদের কৃষি জমি বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার নান্দিগ্রামের তালতলা বিলে কৃষিতে জমিতে পুকুরখনন করছিল একই গ্রামের প্রভাবশালী মাহাবুর মৃৃধা ও তাঁরা ভাইয়েরা। এতে একইগ্রামের আব্দুল গফুর মৃধা তাঁর ১৭শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে পুকুর খননের চেষ্টা চালায় তারা। কৃষক গফুর মৃধা তাঁর জমিতে পুকুর খননে বাধা প্রয়োগ করলেও তাঁরা পুকুর খনন বন্ধ করেন নি। পরে গফুর মৃধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গ্রেপ্তার হয় পুকুর খননকারী দুই ভাই মাহাবুর মৃধা ও ময়েন মৃধা। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার শুভ দেবনাথ কৃষি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগে মাহাবুর ও ময়েন মৃধাকে ১০দিনের কারাদন্ড প্রদান করে। বর্তমানে তাঁরা জেলহাজতে রয়েছেন। তাদের কারাদন্ডের তিন দিনপর আবারো তাদের শরিকরা রাতের আধারে পুকুর খননের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নান্দিগ্রামের কৃষক গফুর মৃধা বলেন, ওই জমিতে প্রতিবছর ধান পাই। সেই ধান দিয়ে সারা বছর ভাত খাই। হঠাৎ করে একই গ্রামের মাহাবুর মৃধা ও তাঁর ভাইয়েরা আমাকে না বলেই পুকুর খনন শুরু করে। এতে বাধা দিলে উল্টো তারাই আমাকে হুমকি দিতে থাকে। পরে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবরে অভিযোগ দিলে ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। তারা জেলে থাকলেও তাঁর ভাইয়েরা আবারো সেখানে রাতের আধারে পুকুর খননের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুরখননকারী মোশাররফ মৃধা বলেন, সেখানে পুকুর খনন করতে গিয়ে তাঁর দুই ভাই এখন জেলে রয়েছেন। তারপর থেকে সেখানে পুকুর খনন বন্ধ রয়েছে। সেখান থেকে গাড়িও তুলে ফেলা হয়েছে। পাশেই গফুর মৃধার সেখানে জমি রয়েছে। তার জমিও পুকুরে পড়বে বলে সন্দেহমূলক ভাবে গফুর মৃধা আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভ দেবনাথ বলেন, ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুই জনের ১০দিনের কারাদন্ড প্রদান ও পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও পুকুর খননের চেষ্টা করা হলে আবারো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।