ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৭:৩০ পূর্বাহ্ন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাগমারার গোলাম হোসেন

  • আপডেট: Saturday, June 4, 2022 - 12:21 pm

বাগমারা প্রতিনিধি: ‘বাগমারায় ওষুধের দোকান ভাঙচুর শিরোনামে’ গত ৩১ শে মে পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ অফিসার গোলাম হোসেন। তিনি প্রকাশিত সংবাদটিকে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছেন।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, বাদী একই এলাকার লোক, অথচ গোলাম হোসেন, রফিকুল ইসলাম, এমদাদুল হক ও মোজাম্মেল হক একই বাবা মায়ের সহদর ভাই। নিজের বড় ভাই ও ছোট ভাইদের অন্য মানুষ বলে অস্বীকার করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

গোলাম হোসেন প্রকৃত ঘটনার বর্ননা দিয়ে বলেছেন, বাগমারা উপজেলার ঝিকরা বাজারে ৫ ভাই ও এক ভাতিজা মিলে ১৯৯৩ সালে ৯.৫০ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে যৌথ ওয়ালের মাধ্যমে সমান অংশে ভাগ করে দোকান ঘর নির্মান করে ২৫ বছর থেকে ভোগ দখল করে আসছিল। ভাইদের অস্বীকারকারী মোজাম্মেল হক বড় ভাইয়ের অংশ ক্রয় করে দুই অংশের উপর পুরাতন যৌথ ওয়ালের উপর সামনের অংশে দ্বিতীয় তলা এবং পেছনের অংশে তৃতীয় তলা নির্মান করে বসবাস করে অসছিলেন।

এরই ধারা বাহিকতায় মোজাম্মেল অনৈতিক সুবিধা দাবি করে আসছিলেন ছোট ভাইদের কাছে। ছোট ভাইয়েরা অস্বীকৃতি জানালে বিরোধ বাধে। এরই প্রেক্ষিতে কোর্টে মামলা করে। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোর্ট বাদী-বিবাদীর বক্তব্য শুনে ১৬/০৫/২২ বাগমারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দাখিলের জন্য ২৬/০৬/২২ নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে রাজশাহী থেকে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে গিয়ে সব কলমের রড কেটে ফেলা হয়।

এ ছাড়াও বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে লিখিত ফয়সালা করেছেন। ফয়সালার কাগজে সই করে আবার পরের দিন অস্বীকার করে। এ ছাড়াও ঝিকরা বাজার কমিটি বারবার ফয়সালা করে দিলে প্রথমে মেনে নেয়, কিন্তু পরে তা অস্বীকার করে।

গোলাম হোসেন আরও বলেছেন, বাদী মোজাম্মেল হক নিজের সহদর ভাই হয়েও যখন নিজের রক্তকে অস্বীকার করে তাই প্রশাসন ও এলাকার সচেতন মহল যেন সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক ফয়সালা করে দেন সেই আকুতি জানিয়েয়েছন গোলাম হোসেন। তা ছাড়া যে কোন সময়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন অবসরপ্রাপ্ত হিসাবরক্ষণ অফিসার গোলাম হোসেন।