পবায় মারপিটের অভিযোগে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/06/114777098_whatsubject.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার: পবায় পুকুরখননকে কেন্দ্র করে জমির মালিককে মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ৯জনকে আসামী করে এ মামলা করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে এলাকায় পুকুরখননকারি সদস্যরা নীতি বহির্ভূতভাবে পুকুরখনন করতে থাকে। পাশাপাশি নিষেধ করা সত্বেও অপরের জমি নষ্ট করে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন করতে থাকে। এছাড়াও অভিযুক্তরা জমির মালিকের কাছে আমগাছ লাগানোর জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
জমির মালিকগণ একদিকে চাঁদা দিতে অস্বীকার এবং অন্যদিকে সেখানে আমগাছ রোপন করতে থাকে। এতে পুকুরখননকারিরা ক্ষিপ্ত হয় ও সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে কয়েকজনকে আহত করে। এতে আহতদের মধ্যে রানা নামের একজন মারাত্মক জখম হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে মাড়িয়া গ্রামের মৃত পাতাল মন্ডলের ছেলে আনছার আলী ৯জনকে আসামী করে আদালতে মামলা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, আরএমপি চন্দ্রিমা থানার কালচিকা গ্রামের নবাব আলীর ছেলে মো. ওমর ফারুক ফারদিন ও আব্দুর রশিদের ছেলে শ্রাবন, একই থানার ললিতাহার গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে টিপু ও জিন্নাতের ছেলে মেরাজ উদ্দিন, পবা থানার মাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মো. বাবুল, খেপা উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও মোজাহার আলী, মৃত বিল্লালের ছেলে মানিক ও মারুফের ছেলে ফারুক হোসেন।
এদিকে মাড়িয়া গ্রামের মৃত পাতান মন্ডলের ছেলে আনছার আলী, মুনসুর আলী, ইনছের আলী ও সাজ্জাদ আলী আসামী ওমর ফারুক ফারদিনের খপ্পরে পড়ে পুকুরখননের জন্য চুক্তিনামার একটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। যেখানে তপশীল সম্পত্তির উল্লেখ ছিল না। এই সুযোগে ওমর ফারুক ফারদিন সম্পত্তির তপশীলে ইচ্ছামত সম্পত্তির বিবরণ লিখে নেয়। এই চুক্তিনামার জন্য ওমর ফারুক ফারদিন অবৈধভাবে পুকুরখনন করতে থাকে। এরপরেও ওমর ফারুক ফারদিন চুক্তিনামা মোতাবেক কাজ করেন না। তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। যে কারণে জেলা নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে এফিডেভিট’র মাধ্যমে ওমর ফারুক ফারদিনের সাথে চুক্তিনামা তারা বাতিল করেন। এবং চুক্তিনামার ওই কাগজটি উদ্ধারের জন্য তারা আদালতের স্মরনাপন্ন হন।