নেপালে নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৪ মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক: নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে যাত্রাপথে নিখোঁজ হওয়া সেই উড়োজাহাজের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পরে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুসতাং জেলায় প্লেনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
প্লেনটি মুসতাং জেলার মানপতি হিমাল পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। পাহাড়টি কোওয়াং গ্রামের লামচে নদীর কাছে অবস্থিত। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই দুর্ঘটনায় প্লেনের সকলেই নিহত হয়ে থাকতে পারেন।
তারা এয়ারলাইনের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা উদ্ধারকারীদের বরাত দিয়ে জানান, পাহাড়জুড়ে মৃতদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। বিধ্বস্ত বিমানটির ১০০ মিটারের মধ্য থেকে উদ্ধারকারীরা মরদেহগুলো উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকারী দল আজ সোমবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সুদর্শন জানান, হেলিকপ্টার থেকে তিনজন উদ্ধারকারী পাহাড়ে নামেন। তাদের মধ্যে একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, একজন পুলিশের এবং অপরজন উচ্চস্থান থেকে উদ্ধারকারী গাইড। উদ্ধারকারী দলের বাকিরা দ্রুতই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাবেন।
আজ সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্লেনটির ধ্বংসাবশেষের ছবি শেয়ার করেন নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়াল। এতে দেখা গেছে, বিমানের একটি ডানা এবং পেছনের দিকের একটি অংশের কিছুটা অক্ষত রয়েছে। এছাড়া পুরো প্লেন টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
গতকাল রোববার সকালে কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের পর্যটন শহর পোখরা থেকে প্লেনটি জমসম শহরে যাচ্ছিল। জমসম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর ১৫ মিনিট আগে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে উড়োজাহাজটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
প্লেনে ১৯ জন যাত্রী ও ৩ ক্রুসহ মোট ২২ জন আরোহী ছিল। তাদের মধ্যে ১৩ জন নেপালি নাগরিক, চারজন ভারতীয়, দুইজন জার্মান নাগরিক এবং তিনজন ক্রু। গতকালই বিমানটিকে উদ্ধার করতে খোঁজ শুরু হয়। বৈরী আবহাওয়া এবং আলো কমে যাওয়ার কারণে অনুসন্ধানকাজ স্থগিত করা হয়। পরে আজ সকালে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে নেপালের ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই গতকাল ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
সোনালী/জেআর