ঢাকা | নভেম্বর ১৮, ২০২৪ - ২:২৮ অপরাহ্ন

নেপালের সেই বিমানটি বিধ্বস্ত

  • আপডেট: Sunday, May 29, 2022 - 8:07 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ২২ জন আরোহী নিয়ে নেপালের একটি যাত্রীবাহি ছোট আকারের বিমান নেপালের লামছে নদীর পাশে বিধ্বস্ত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে চারজন ভারতীয় ও তিনজন জাপানের নাগরিক ছিলেন।

রোববার সকালে মধ্য নেপালের পোখারা থেকে জমসোমে যাওয়ার পথে রাডারের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সূত্র জানায়, নিখোঁজ বিমানটি ছিল বেসরকারি তারা এয়ারের ৯ এনএইটি টুইন-ইঞ্জিনের। তারা এয়ারের একজন মুখপাত্র জানান, বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ কোয়াঙ গ্রামে পাওয়া গেছে।

বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ সিলওয়াল এএনআইকে বলেন, তারা এয়ারের বিমানটি লামছে নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। নেপাল সেনাবাহিনী স্থল এবং বিমান রুট থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

বিমানটির সঙ্গে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানে ভারত ও জাপানের নাগরিক ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন নেপালের নাগরিক।

নেপালের একজন সরকারি কর্মকর্তা নেত্র প্রসাদ শর্মা বলেন, ‘বিমানটিকে মুস্তাং জেলার জোমসোমের আকাশে দেখা গিয়েছিল এবং তারপর ধৌলাগিরি পর্বতে চলে যায়। পরে এটি যোগাযোগে আসেনি।’

এর আগে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফাদিন্দ্র মণি পোখারেল বলেন, ‘নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিখোঁজ বিমানের সন্ধান পেতে মুস্তাং এবং পোখারা থেকে দুটি ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে। নেপাল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারকেও অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনায় মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

নেপালের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির দুর্বল নিরাপত্তা রেকর্ড রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা এয়ারের একটি বিমান পশ্চিম নেপালের পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রাণ যায় অন্তত ২৩ জনের।

ওই বিমানটিও পোখারা থেকে জমসোম যাচ্ছিল। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই বিমানের অধিকাংশই যাত্রীই ছিলেন নেপালি।