প্রেমিকের সাথে হোটেলে স্ত্রী, স্বামী হাতে ধরা পড়ে কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্ত্রীর সাথে প্রকাশ্যে মাঝরাস্তায় টানাহেঁচড়া ও মারপিট করতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার দুপুরে আবাসিক হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় এই নারীর কথিত প্রেমিককেও আটক করে সাধারণ জনগণ। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা এই টানাহেঁচড়ার পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাদের তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ওই নারীর স্বামী (৩৬) জানান, তার স্ত্রী (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ বাহাদুরপুরের এক ব্যক্তির (৩৫) সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত রয়েছেন। তাদের আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে এখন কলহ ছাড়া কিছুই নেই। পুলিশের কাছে ওই নারী জানিয়েছেন, তিনি রাজধানীতে হাতিল ফার্নিচার এর একটি শোরুমে কাজ করেন।
অন্যদিকে তাঁর কথিত প্রেমিক রাজধানীর নাভানা ফার্নিচার শোরুম এ কাজ করেন। ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী যখন নাভানা ফার্নিচার শোরুম এ কাজ করতো তখন থেকেই তার পরকীয়া সম্পর্ক। বিভিন্ন সময়ে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে প্রেমিকের সাথে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ আনেন তিনি। দুদিন আগেও রাজশাহীতে বান্ধবীর বাড়ি আসার নাম করে প্রেমিকের সাথে হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ৫০৩ নম্বর রুমে ওঠেন তার স্ত্রী।
বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে একটি সেলফি তুলে স্বামীকে পাঠিয়ে তিনি জানান তিনি বান্ধবীর বাড়িতেই আছেন। এদিকে তার স্বামী খুঁজতে খুঁজতে হোটেল নাইসে তাদের দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। দুপুরে সড়কের মধ্যে প্রকাশ্যে এই তিনজনের মারামারি দেখে এগিয়ে আসে স্থানীয়রা। তারা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে ওই নারী জানান, তিনি তার স্বামীর সাথে থাকতে চান না।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, মাঝরাস্তায় তিনজনের একেবারে বেগতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তাই টহল পুলিশ তাদের থানায় আনে। এরপর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই নারীর স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিটা এখন তাদের ব্যাপার।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের আদালত পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, দুজনের কোন আইনজীবী ছিলেন না। কোন লোকজনও ছিলেন না যে আইনজীবী ধরবেন। জামিনের আবেদনও করা হয়নি। তাই আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ এর বিচারক মো. রেজাউল ইসলাম সন্ধ্যায় এ আদেশ দিয়েছেন।