রাজনৈতিক দলগুলোকে শিগগিরই সংলাপে ডাকবে ইসি
অনলাইন ডেস্ক: একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে শিগগিরই সংলাপের আহ্বান জানাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ ও ২২ মার্চ এবং ৬ ও ১৮ এপ্রিল দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে এই ইস্যুতে সংলাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপে আসা প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনা করে বেশ কিছু মতামত দিয়েছে ইসি।
এতে বলা হয়, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জনআকাঙ্ক্ষা ও গুরুত্ব নির্বাচন কমিশন সবসময়ই অনুধাবন করে থাকে। সেই লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্ণীয় নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে ইসি।
যেমন- ভোটকেন্দ্রে ও ভোটাধিকার প্রয়োগে অর্থশক্তি ও পেশীশক্তির প্রভাব প্রতিরোধ করা; এসব ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকেও স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসি মনে করে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, মতৈক্য ও সমঝোতা এ ধরনের সমস্যা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়া নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ প্রতিরোধ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ ফলাফল নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতা হলে নির্বাচন একাধিক দিনে কয়েকটি ভাগে সম্পন্ন করা যেতে পারে বলে যে প্রস্তাবনা এসেছে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে তার উপযোগিতা ও সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, স্বচ্ছতার জন্য ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করে কেন্দ্রের ভেতরের দৃশ্য বাইরে পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টিও ইসি বিবেচনা করছে।
অন্যদিকে ইভিএমের শুদ্ধতা ও অপপ্রয়োগ রোধে কমিশন ইতোমধ্যে কয়েকটি সভা করেছে। পরীক্ষা ও পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিজ্ঞদের নিয়ে পর্যালোচনা সভারও আয়োজন করা হবে। এরপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিধি ও বিস্তৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।