ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড মিথিলা দাসের বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদি জেলার নাচোল উপজেলার কসবা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলো মো. আব্দুর রশিদ।
মামলার আসামীরা হলেন, নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, কসবা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী লতিবের ছেলে মো. দুরুল, মো. নুরুল ও একই এলাকার মৃত হেলালের ছেলে মো. জেন্টু।
মামলার বাদি আব্দুর রশিদ বলেন, গত ১০ মে কসবা উজিরপুর হাটে সরকারি জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নাচোল উপজেলা প্রশাসন। এসময় ৩০-৪০টি দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়। হাটের পাশেই দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে থাকা আরএস ১৬৬ নম্বর দাগে আমাদের বাড়িতেও অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
অথচ জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এমনকি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি থাকলেও ইউএনও ও এসিল্যান্ডের নির্দেশে দু’টি পাঁকা ঘর ভেঙে ফেলা হয়। অনেক কাকুতি-মিনতি করেও কোন সুযোগ দেয়নি তারা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ি ভাঙার সময় ইউএনও ও এসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে ২০-২২ জন লোক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে ঢুকে মামলার আসামী দুরুল, নুরুল ও জেন্টু বাক্সে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এমনকি ঘরের খাট, সোফাসেট, কাঁসার থালি লুট করে নিয়ে যায় তারা। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই বিচার পেতে তাদের বিরুদ্ধে আদালতের নিকট শরণাপন্ন হয়েছি।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুর রহমান জানান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ন কবীবের আদালত মামলা গ্রহণ করে আগামী রবিবার আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন।
নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মামলার বিষয়টি শোনার পর তিনি বলেন, এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলব।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, মামলা দায়েরের বিষয়টি আমার জানা নেই। জানার পর এবিষয়ে মন্তব্য করব। তবে উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি সরকারি হাট। যা ইজারা দেয়া হয়েছে। সেখানে অবৈধ দখলদারদের উঠিয়ে দিতেই নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।