ঢাকা | অক্টোবর ১২, ২০২৪ - ৬:১৭ পূর্বাহ্ন

ফের বাড়লো ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সময়

  • আপডেট: Friday, May 20, 2022 - 7:15 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: সব শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষা সংক্রান্ত সব তথ্য দিয়ে প্রোফাইল ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ হিসেবে চার বছর আগে ইউনিক আইডি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছেনি ইউনিক আইডি।

এমন অবস্থায় ইউনিক আইডি ডাটা এন্ট্রির সময় বাড়ানো হয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ইউনিক আইডি প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর মো. শামছুল আলমের সই করা আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, সব বিভাগের জন্য ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা আগামী ২০ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা ৩১ মে পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন বার বার বাড়ছে ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সময়

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পে ধীর গতি, সার্ভারে সমস্যা ও নানা কারণে আলোর মুখ দেখেনি এ প্রকল্প। গত মার্চ মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের এক কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে এই আইডি কার্ড তুলে দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও তা বার বার পেছানো হয়।

কেন তৈরি করা হচ্ছে ইউনিক আইডি

ইউনিক আইডির প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে। অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় বর্তমানে কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করছে। আর যারা ১৮ বছরের ওপরে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। এই দুই স্তরে পরিচয় ও শনাক্তের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মাঝখানে বাদ পড়ে যাচ্ছে প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচের প্রায় সাড়ে তিন কোটি শিক্ষার্থী। এদের আইডেন্টিফিকেশনের আওতায় আনার জন্যই ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে।

ইউনিক আইডি যে বিষয়ে ব্যবহার হবে

একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের সেবা যেমন বই নেয়া থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি, উপবৃত্তির অর্থ নেয়া অর্থাৎ যত ধরনের নাগরিক সেবা আছে, সবই দেয়া হবে এই আইডির মাধ্যমে। আর যখন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তখন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় তাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে এই ইউনিক আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে রূপান্তর করবে।

এ বিষয়ে ইউনিক আইডি প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলম জানিয়েছিলেন, কোনো শিক্ষার্থী চাকরি পেল না বেকার থাকলো সেটির তথ্যও এই আইডির মধ্যে সংরক্ষিত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পাবে কবে?

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা এর আগে জানিয়েছিলেন, মুজিববর্ষে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হবে। কিন্তু সেই উদ্যোগের বাস্তবায়ন হয়নি। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এটির কোনো দিনক্ষণ জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে শুক্রবার প্রকল্প পরিচালক শামসুল আলমকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।