জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খেয়াল রেখেই প্রকল্প প্রস্তুত করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার: ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধরণ পাল্টেছে। তাই গ্রামীণ উন্নয়নের যে কোন প্রকল্প এ বিষয়টি খেয়াল রেখেই করতে হবে। তাহলে প্রকল্প টেকসই হবে। টাকার অপচয় হবে না।’ রাজশাহীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) এক কর্মশালায় কর্মকর্তারা এ কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগের এলজিইডির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রকল্পের (ক্রিম্প) মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক) আয়োজিত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও ক্রিলিকের পরিচালক একেএম লুৎফর রহমার এর উদ্ধোধন করেন।
প্রকল্পের পরিচালক জসিম উদ্দিন তাঁর স্বাগত বক্তব্যে এই প্রকল্প প্রস্তুতের সময় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক স্বদিচ্ছার কথা তুলে ধরেন। তিনি ক্রিলিক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও করণীয় সর্ম্পকে সম্যক ধারণা দেন। এ সময় তাঁকে সহায়তা করেন ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট লোকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেন্টার (ক্রিলিক)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী একেএম লৎফর রহমান তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনা, ডিজাইন, বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে জলবায়ু সহিষ্ণুতার অন্তর্ভুক্তি, জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, মানসিকতার উন্নয়ন ও সম্পদের সদব্যবহারের মাধ্যমে দেশব্যাপি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে এক লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান। এলজিইডির রাজশাহী বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এরত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি বগুড়া অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম কবির।
রাজশাহী বিভাগের ৩টি অঞ্চলের অধীনে আট জেলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকেীশলী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীসহ মোট ৭৩ জন প্রকৌশলী দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এলজিইডির রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাক আহমদ। বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে বান্দা হাফিজ, ফারুক বিশ্বাস, রউফ আকন্দ ও নাজমুল হাকিম বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।