ঢাকা | মে ১৭, ২০২৪ - ২:০৬ অপরাহ্ন

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেদখল জমি ও সম্পত্তি উদ্ধার জরুরি

  • আপডেট: Wednesday, May 18, 2022 - 9:22 pm

দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বেদখলের সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সচেষ্ট হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি-সম্পত্তি দখল করে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত মালিক ও প্রতিষ্ঠান। অবশেষে এসব দকলমুক্ত করতে নতুন আইন প্রণয়নের পাশাপাশি সরেজমিনে খোঁজ-খবর নেয়া শুরু হয়েছে। গতকালের পত্রিকায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৩শ একর জমি ও ভৌত অবকাঠামো বেদখল হওয়ার প্রমাণ পাওয়ার কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সঙ্গে অনুমোদনের সময় দেয়া জমির বর্তমান অবস্থা যাচাই বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত সারা দেশের ৪শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্কুল-কলেজের ২৫৯ দশমিক ৯৩৩১৩ ও কারিগরি মাদ্রাসার ৮৮ দশমিক ৭৮৯৩ একর জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার তথ্য প্রমাণ পাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেহাত সম্পত্তি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে।

প্রভাবশালীদের মধ্যে অপরের সম্পত্তি গ্রাস করার প্রবণতা অস্বাভাবিক হওয়া এখন আর কারও দৃষ্টি এড়ায় না। ক্ষমতার অপব্যবহারে তারা এতটাই বেপরোয়া হয়েছে যে সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে। এর মধ্যেই ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২১ এর খসড়া প্রণয়ন সম্পন্ন হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুমোদনের পর এর বাস্তবায়ন ভূমিদস্যুও সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের লাগাম টানতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জমি-সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে যারা সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়িয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এ ভাবে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, রেলওয়ে, সড়ক জনপথসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি উদ্ধারও জরুরি হয়ে উঠেছে চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থেই।