জোড়া সেঞ্চুরির পথে লিটন-মুশফিক, লিডের পথে বাংলাদেশ
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/05/Untitled-1-copy-122.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: গত দুইদিন বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাতে চতুর্থ দিন সকালে বৃষ্টির বাঁধা যেন কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিলো শ্রীলঙ্কাকে। চতুর্থ দিন সকালে বৃষ্টি বাঁধায় আধা ঘণ্টা পর শুরু হয় দিনের খেলা। তবে বাংলাদেশের যেন তাতে থোড়াই কেয়ার। আগেরদিনের অবিচ্ছেদ্য জুটি লিটন-মুশফিক যেন আরও ভয়ংকর সকাল থেকেই। লঙ্কান বোলারদের শাসন করে দুজনই আছেন সেঞ্চুরির দারপ্রান্তে। সাথে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২ রানে পিছিয়ে থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
সাগরিকায় লঙ্কান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করে চতুর্থ উইকেটে মুশফিক-লিটনের ৩৭৪ বলে অপরাজিত ১৬৫ রানের জুটিতে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার গড়া রানের পাহাড় অতিক্রম করার পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
সাগরিকার আকাশ আজ সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরিয়ে থেমেছে সাড়ে নয়টার দিকে। আউটফিল্ড ভেজা থাকায় আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু দিনের খেলা। ৩ উইকেটে ৩১৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটেই ৩৮৫ রান। লিটন-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইনিংসে দ্বিতীয় শতরানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। এখন দুজনই ছুটছেন ব্যক্তিগত শতকের দিকে। বিরতিতে যাওয়ারে আগে মুশফিকের সংগ্রহ ২২২ বলে ৮৫ রান আর ১৮৮ বল খেলে ৮৮ রান করে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন লিটন। এই দুই উইকেটকিপার জোড়া সেঞ্চুরি করেই লঙ্কান্দের বিপক্ষে এখন লিড এনে দিবে টাইগারদের এমনই আশা ক্রিকেট ভক্তদের।
এদিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ছাপ রাখা মুশফিক এরই মধ্যে ছুঁয়ে ফেলেছেন প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক। ব্যক্তিগত ৬৮ রানের সময়ই রেকর্ডে নাম লেখান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। মাইলফলকটা অবশ্য আগেই ছুঁতে ফেলতেন তামিম ইকবাল। গতকালই ব্যক্তিগত ৮৫ রানে থাকার সময়েই মুশফিকুর রহিমকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন তামিম। ক্রিজে থাকলে হয়তো পাঁচ হাজার রানের কৌটাটা আগেই ছুঁয়ে ফেলতে পারতেন তিনি। তবে তামিমের ক্র্যাম্প হয়ে আহত অবসর হওয়ায় সুযোগ পেয়ে যান মুশফিকুর রহিম। আর সুযোগ পেয়েই যেন তা দুহাতে লুফে নিলেন মি. ডিপেন্ডেবল।
লিটন-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরি আসলে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরির দেখা পাবে বাংলাদেশ। এই দুজনের আগেই ওপেনিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৩৩ রানের ইনিংস। এর আগে ২০১৩ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি হয়েছিলো বাংলাদেশের ইনিংসে। মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০, মুশফিকের ২০০ আর নাসির হোসেন করেছিলেন ১০০।
এর আগে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ১৯৯ রানের লড়াকু ইনিংসে চড়ে প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছিলো শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে তামিমের অপরাজিত শতক ও জয়ের অর্ধ-শতক আর সাথে লিটন-মুশফিকের শতকের পথে এখন টেস্টের লাগামও টাইগারদের হাতেই।
সোনালী/জেআর