পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারের তথ্য আমাদের জানায়নি ভারত
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/04/home-minister-1-samakal-62480e97e58b6.webp)
অনলাইন ডেস্ক: প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালানো প্রশান্ত কুমার হালদার (পিকে হালদার) গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে ভারত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি। আজ রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মন্ত্রী বলেন, পিকে হালদার বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের পরোয়ানাভুক্ত আসামি। আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে অনেক দিন ধরেই তাকে চাচ্ছিলাম। সে গ্রেপ্তার হয়েছে, তবে আমাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
গতকাল শনিবার পিকে হালদার গ্রেপ্তারের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আমাদের জানালে যা করা দরকার করব।’
শনিবার পিকে হালদারকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ইডি জানিয়েছে, পিকে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
শনিবার ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।
প্রসঙ্গত, পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে এই অর্থপাচার করেছিলেন তিনি। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
সোনালী/জেআর