পিকে হালদার গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/03/Untitled-1-copy-165.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচার করে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছুই জানে না বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
তবে পিকে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানালে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আজ শনিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মন্ত্রী মোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পিকে হালদারের বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না। গণমাধ্যমে কিছু দেখলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে ভালো হবে। তাঁরা আমাদের জানালে পরে যা যা করার দরকার, সেটা আমরা করব।’
পিকে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে আপনাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ ছিল কি না। কারণ ভারতের কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করে গেছেন। কিন্তু আমাদের মন্ত্রণালয় এই সম্পর্কে জানি না।’
যারা বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই। আমাদের দুদক কাজ করছে অনেক দিন ধরে। কারণ অনেক লোকজন আমাদের টাকা নামে-বেনামে বিদেশে পাচার করছে। এরা দেশের শত্রু, তাদের ধরে নিয়ে আসা ভালো।’
এটি নিয়ে মন্ত্রণালয় নয়, দুদকই কাজ করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি করে কে কোথায় টাকা নিয়ে গেছে, আমাদের যদি হুকুম দেন, তখন আমরা সেই ভাবে কাজ করি।’
পিকে হালদারের গ্রেপ্তারের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা ঠিক আমি জানি না, গণমাধ্যমে দেখলাম। আমাকে কেউ এই তথ্যটা দেয় নাই। জানার পরে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেব।’
বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে পিকে হালদারকে ফেরত আনা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যা যা করার তাই করব।’