ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ৯:২৩ পূর্বাহ্ন

ভোজ্যতেলের সঙ্কট কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাবে

  • আপডেট: Thursday, May 12, 2022 - 8:18 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের যে সঙ্কট চলছে তা কয়েকদিনের মধ্যেই কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে তার প্রভাব আমাদের বাজারেও পড়বে। তখন তেলের দাম কমবে। এছাড়া এখন ‘বাজারে তেল না থাকা’র যে সঙ্কট সেটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কেটে যাবে।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৫ মে নতুন দাম নির্ধারণের পর ৬ ও ৭ মে সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। ফলে পেমেন্ট করে মাল নিয়ে তা ডিস্ট্রিবিউশন করতে সময় লেগেছে ব্যবসায়ীদের। এর বাইরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগের দামের কিছু তেল লুকিয়ে রেখেছিল। সেটাও তারা বের করছিল না। এজন্য সংকট হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি, আশা করি দুই-তিন দিনের মধ্যেই তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

‌এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান বন্ধে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঠিকমতো সাপ্লাই দেয়া শুরু না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখব।

সরকার কবে থেকে তেল আমদানি করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী হয়ত জুন মাস থেকে টিসিবির মাধ্যমে তেল আমদানি করতে পারব।

তেল আমদানিতে যতটুকু শুল্ক আছে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছে এফবিসিসিআই- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সবকিছুর ট্যাক্স কমানোর দপ্তর হচ্ছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ। আমরা শুধু চিঠি দিতে পারি। আমাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১০ শতাংশ তারা কমিয়েছে। এখন ভ্যাট ৫ শতাংশ আছে। আমরা চিঠি দেবো সেটা কমানোর জন্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে যেটা দিয়েছিলাম, এটা কনটিনিউ করব। আমাদের ব্যবসায়ীরা যেটা রেগুলার ইমপোর্ট করে সেটা যদি করে থাকে, তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমরা দামটা ৩৮ টাকা বাড়িয়েছি। কিন্তু জনগণের কথা ভেবে রমজান মাসে সেটি করিনি। এফবিসিসিআই বলছিল ১৫ দিন পরপর দামটা দেখতে। আমরা এক মাস পরপর দেখি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে ভারত থেকে ১৩-১৪ টাকা কমে তেল বিক্রি করছি। পাকিস্তান থেকে আমাদের টাকায় প্রায় ৩৬ টাকা কমে বিক্রি করছি। নেপালের প্রাইস একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমাদের পক্ষে কমানো সম্ভব হবে না। এখনো ৯০ শতাংশ বাইরের দেশের ওপর নির্ভরতা রয়েছে আমাদের।