ঢাকা | নভেম্বর ১৮, ২০২৪ - ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

ব্যবসা সহজীকরণে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

  • আপডেট: Thursday, May 12, 2022 - 8:12 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন সহজ ব্যবসা সূচকে দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বে চতুর্থ। আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৮ নম্বরে। বাংলাদেশ ব্যবসা, বিনিয়োগে বিশ্বের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়া।

এ জন্য আমরা নিজেদের বিশ্বের অন্যতম ব্যবসাবান্ধব দেশে পরিণত করতে চাই। বন্ধুপ্রতিম দেশ দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে। বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতা চায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৬ দশক আগেও এক কৃষিনির্ভর গরিব দেশ ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কেবল দেশটির নেতাদের কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) ও প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা আজ তাদের বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আর বাংলাদেশের বড় সমস্যা হলো এই প্রকল্প বাস্তবায়ন।

দক্ষিণ কোরিয়ায়ও একসময় এমন পরিস্থিতি ছিল। তাদের নেতৃত্ব দেশের উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে কঠোরতা অবলম্বন করে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে জোরালোভাবে চাপ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানান মোমেন।

তিনি বলেন, এর আগেও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়ায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

তারপরও গত কয়েক বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের ভালো সম্পর্ক। কয়েক বছরে মিয়ানমারে কোরিয়ার বিনিয়োগ কয়েক গুণ বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের যেন তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন করা যায়, এ জন্য আমি কোরিয়াকে বলব এক্সট্রা ইনিশিয়েটিভ নিতে। আপনারা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারা চাপ প্রয়োগ করুন।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কুয়াং বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্ব ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। সময় এসেছে সেটাকে কাজে লাগানোর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণ অনেক পুরোনো। ১৯৭৯ সাল থেকে এ খাতে কোরিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে। অন্যান্য খাতেও আজ কোরিয়ান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য।