ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৮:২৮ পূর্বাহ্ন

ভারতে স্থগিত হলো ব্রিটিশ আমলের রাষ্ট্রদ্রোহ আইন

  • আপডেট: Thursday, May 12, 2022 - 2:15 pm

অনলাইন ডেস্ক: ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন স্থগিত করেছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এই আইনে নতুন কোনো মামলা নেয়া এবং কাউকে গ্রেপ্তার করার ওপরও নিষধাজ্ঞার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের অধীনে নতুন কোনো মামলা না নিতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদলত। এছাড়াও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চলমান সকল বিচার স্থগিত রাখার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর বিচারকরা জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীন কারাগারে আছেন বা এই আইনের অধীনে যাদের বিচার চলছে, তারা এখন থেকে জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এদিকে আইনটি বহাল রাখতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ভারত সরকার জানিয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের রিভিউ করবেন তারা।

এতোদিন ধরে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীসহ ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে ভারত সরকার আইনটি ব্যবহার করে আসছিল।

অন্যদিকে ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা কপিল সিবাল সুপ্রিমকোর্টকে জানান, সমগ্র ভারতজুড়ে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে প্রায় আটশতাধিক মামলা বিচারের অপেক্ষায় আছে। কারাবাস করছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ।

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের মাধ্যমে সমালোচকদের বাকস্বাধীনতা হরণ করার অভিযোগ রয়েছে সরকারের বিপক্ষে। গত বছর কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকদের সাহায্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নথি শেয়ার করায় এক পরিবেশকর্মীকে আটক করেছিল ভারত সরকার। সেই সময়ই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে তুমুল সমালোচনা ওঠে।

এমনকি একটি স্কুলে একটি নাটকে অংশ নেয়া ৯ থেকে ১২ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় তারা একটি ফেসবুক পোস্টে লাইক দিয়েছিল।

১৯৬২ সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছিল। তবে ভারতের বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে নিজেদের প্রয়োজনে এই আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল। যারা সরকার বিরোধী কথা বলতো তাদেরকেই ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করতে আইনটি ব্যবহার করতো সরকার।

সোনালী/জেআর