ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৭:২১ পূর্বাহ্ন

ডেসটিনির রফিকুলের ১২, হারুনের ৪ বছরের কারাদণ্ড

  • আপডেট: Thursday, May 12, 2022 - 1:19 pm

অনলাইন ডেস্ক: গ্রাহকের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের ১২ বছরের এবং চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের ৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এই দুজনসহ মোট ৪৬ জন আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড করা হয়। রফিকুল আমীনের ২০০ কোটি ও হারুন-অর-রশিদের ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল এ রায় ঘোষণা করেন। ২৭ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ ১২ মে ধার্য করেন।

দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন গোফরানুল হক, সাঈদ-উর-রহমান, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ইরফান আহমেদ, ফারাহ দিবা, জামসেদ আরা চৌধুরী, শেখ তৈয়েবুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, আজাদ রহমান, আকবর হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, সাইদুল ইসলাম খান, সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মজিবুর রহমান, দিদারুল আলম, এম হায়দার উজ্জামান, জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, শফিউল ইসলাম, জিয়াউল হক মোল্লা, সিকদার কবিরুল ইসলাম, ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান, সাকিবুজ্জামান, এস এম আহসানুল কবির, এ এইচ এম আতাউর রহমান, জি এম গোলাম কিবরিয়া, আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমদ, এ কে এম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, দেলোয়ার হোসেন, জেসমিন আক্তার ও শফিকুল হক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এরমধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্টি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৫১ জন এ দুই মামলার আসামি।

তাদের মধ্যে রফিকুল আমীন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন এবং লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ১০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। জামিনে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ, চেয়ারম্যান জেসমিন আক্তার, জিয়াউল হক মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম রুবেল। বাকি ৪৪ জন আসামি পলাতক।

সোনালী/জেআর