শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয়
অনলাইন ডেস্ক: শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় না নামার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়। সবার প্রতি আহ্বান, এটাতে যেন কেউ না নামেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির আগে শিক্ষার মান অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করা অনেক বেশি জরুরি। অথচ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষার্থী বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামছে। এর প্রত্যক্ষ কুফল আমরা দেখতে পারছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার জায়গা নেই, খেলাধুলার জায়গা নেই, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্যও আলাদা জায়গা নেই। এছাড়া আরও অনেক সমস্যা তো রয়েছেই।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। তাই, চলমান পৃথিবীর সাথে তাল মেলানোর পাশাপাশি আগামী দিনের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষাখাতকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এ জন্য মাস্টারপ্লান তৈরি করা হয়েছে। এই মাস্টারপ্ল্যানে ই-লার্নিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে যত বাধাই আসুক হতাশ হওয়া যাবে না। করোনার দুই বছরে দেখা গিয়েছে পৃথিবী আসলে কত নিষ্ঠুর, তবু পেশাগত জীবনে সততা, দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক গুণও ফুটিয়ে তুলতে হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সমাবর্তনে আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের এক হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া অনন্য মেধাবী দুইজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।
সমাবর্তন বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।