বানেশ্বর ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ, আটক ৫
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর চারটি গুদামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে। মঙ্গলবারর বিকালে জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ^র বাজারে এসব গুদামের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। অতি মুনাফার লোভে মজুত করে রাখার অভিযোগে তেলগুলো জব্দ করে গুদাম চারটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পুঠিয়া থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানে প্রায় ৫০ জন পুলিশ অংশ নেন। এদের মধ্যে দাঙ্গা পুলিশও ছিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলমসহ অন্য ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও অভিযানে ছিলেন।
অভিযানে ফজলুর রহমান নামের এক ট্রাকচালককে আটক করা হয়। এ ছাড়া বানেশ্বরে বাজারের সরকার এন্ড সন্সের মালিক বিকাশ সাহা, এন্তাজ স্টোরের মালিক এন্তাজ আলী, মেসার্স পাল এন্ড ব্রাদার্সের মালিক শৈলেন পাল ও রিমা স্টোরের মালিক রাজিব সাহাকে আটক করা হয়। তারা কেউ পরিবেশক নন। তেল মজুত রাখার বিষয়ে কেউ বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিভিন্ন উপায়ে তেল সংগ্রহ করে মজুত করতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সরকার এন্ড সন্স থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৬ ব্যারেল পামওয়েল, এন্তাজ স্টোর থেকে ২২ ব্যারেল সয়াবিন ও ১২০ ব্যারেল পাম, মেসার্স পাল এন্ড ব্রাদার্স থেকে তিন ব্যারেল সয়াবিন ও ১০০ ব্যারেল পাম, রিমা স্টোর থেকে ৪৮ ব্যারেল সয়াবিন ও ২৭ ব্যারেল পাম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন বাজারের উদ্দেশ্য বোঝাই করা একটি ট্রাক থেকে ৬০ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে।
প্রতিটি ব্যারেলে ২০৪ লিটার করে ভোজ্যতেল রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১২১ ব্যারেল সয়াবিন তেল ও ৩৩৩ ব্যারেল পাম তেল জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মোট ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার তেলের মধ্যে সয়াবিন ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার। আর পাম ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার।
রাজশাহীর এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, বেশি মুনাফার লোভে রোজার আগে থেকে এসব ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে রেখেছিলেন। বাজারে কৃত্রিম সংকটের জন্য এরাও দায়ী। তাঁরা তেলের ব্যবসার বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাই সব তেল জব্দ করা হয়েছে। ভেতরে তেলগুলো রেখে গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। যে ট্রাকে তেল বোঝাই করা হয়েছিল সেটিও জব্দ করা হয়েছে।
এসপি আরও জানান, আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা হবে। আর আদালতের অনুমতি নিয়ে জব্দ করা তেলগুলো ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে।