কৃষকের সাথে বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না
স্টাফ রিপোর্টার: পানিসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট যে কোন বিষয় নিয়ে কৃষকের সাথে বৈষম্য করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় কৃষক সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকের নায্য অধিকার হরণ করে কেউ মুনাফা অর্জন করার কুটকৌশল অবলম্বন করলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় তারা এসব কথা বলেন। কৃষকের পানির অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে এই সভায় আয়োজন করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি গোদাগাড়ীর নিমঘটু গ্রামে জমিতে পানি না পেয়ে দুই আদিবাসী কৃষকের আত্মহত্যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। দেশের কৃষকের বাস্তবতা যদি এমন হয় তাহলে কৃষি ও কৃষকের ভবিষ্যৎ কী তা খুব পরিষ্কার! মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে কৃষকের এমন ভয়াবহ চিত্র আমরা প্রত্যাশা করিনি। পানিসহ কৃষকের সকল অধিকার সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
কৃষকের সাথে বৈষম্য, অবিচার করা হলে দেশে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, কৃষক তার ধানের নায্য মূল্য কখনোই পায়নি। খাতা কলমে অনেক কিছুই দেখানো হয়; তবে বাস্তবতা ভিন্ন। কৃষক সমিতি তৃণমূলের কৃষকদের সব খবর রাখে। দেশের কোথাও কৃষকের সাথে বৈষম্য, অবিচার করা হলে আমরা বড় ধরনের কৃষক আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।
জাতীয় কৃষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি কয়েশ উদ্দীনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ।
এছাড়াও বক্তব্য দেন, কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, কৃষক নেতা ফরজ আলী, আদিবাসী নেতা গণেশ মার্ডি, বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম অপু প্রমুখ।