ঢাকা | নভেম্বর ১৮, ২০২৪ - ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৫৮২৫ কোটি টাকা

  • আপডেট: Tuesday, May 10, 2022 - 7:20 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।

এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৬৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১ হাজার ২২০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৬৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে মন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম প্রমুখ।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে-বাপবিবোর বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পোল মাউন্টেড উপকেন্দ্রের নবায়ন ও আধুনিকায়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হযেছে ৬৭৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নেসকো এলাকায় স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন প্রকল্প, ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা।

ইনসটেলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লোকাল গভরনমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এলওজিআইসি) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (প্রথম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টগুলো পুনঃনির্মাণ এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১৪টি) প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।