রাজশাহীতে প্রতিবন্ধী পরিবারের বসতভিটা দখলের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এক প্রতিবন্ধী পরিবারের সবটুকু বসতভিটা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়েছে। আয়েশা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলেদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তাঁর শ্বশুর হোসেন আলী বৃটিশ আমল থেকে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর খড়বোনা এলাকার প্রায় ৪ কাঠা জমিতে বসবাস করতেন। শ্বশুরের পর তাঁর স্বামী মৃত আবদুল কাদের তাঁদের নিয়ে এই ভিটায় বাস করতেন। কয়েকবছর ধরে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম সরকার নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁদের ভিটার একটি অংশের মালিকানা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে তিনি মামলা করেন।
আদালতে রায় হলে এক কাঠারও কম পরিমাণ জমির মালিকানা পান। তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সে মামলা চলমান। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ নিয়ে গিয়ে প্রায় চার কাঠা ভিটার পুরোটিই দখল করে নিয়েছেন রফিকুল। আগে থেকে কোন নোটিশ না দিয়ে সেদিন তাদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও গোয়াল ঘর গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন পরিবারের ১০ জন সদস্য ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। গবাদী পশু রাখা হয়েছে নদীর ধারে খোলা আকাশের নিচে।
আয়েশা বেওয়া অভিযোগ করেন, আদালতের রায়ে রফিকুল ইসলাম এক কাঠার চার ভাগের একভাগ জমি পেয়েছেন। কিন্তু তিনি জোর করে চার কাঠার পুরো ভিটাটিই দখল করেছেন। এতে তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। আশেয়া জানান, তাঁর চার ছেলের মধ্যে তিনজনই প্রতিবন্ধী। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালী রফিকুল তাঁকে উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদের সময় তিনি ঘরবাড়ির কোন মালামাল বের করতে পারেননি। এখন তিনি নিঃস্ব।
আয়েশা বলেন, জমি উদ্ধারে আদালতে মামলা চলমান থাকলেও তা মিমাংসা না হতেই রফিকুল তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। রফিকুল ও তার সহযোগীরা চারপাশে দেয়াল তুলে দিয়ে সম্পূর্ণ জমি দখলে রেখেছেন। সেখানে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ভিটাটি এখন রফিকুল অন্য জায়গায় বিক্রির পাঁয়তারা করছেন।
তাদের অন্যায়ভাবে উচ্ছেদের জন্য আয়েশা অভিযুক্ত রফিকুলের শাস্তির দাবি করেন। একইসঙ্গে সঠিকভাবে কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে জমি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বৃদ্ধা আয়েশা। অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত রফিকুলকে দু’দফা ফোন করা হয়। তবে ফোন না ধরার কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।