ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার: বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কুমারপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ে এর আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া অত্যন্ত নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মেধাবীও ছিলেন। বিজ্ঞান চর্চায় অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন দেশ ও জাতির উন্নয়নে বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে উন্নতি সাধনের উপায় বের করার চেষ্টা করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতেন।
ডাবলু সরকার বলেন, দেশ বরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানী বঙ্গবন্ধুর জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর তিনি পরিবারের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসেরই একটি অংশ। রাজনীতিতে তিনি কখনই সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন না। তাঁর কোন রাজনৈতিক অভিলাষও ছিলো না। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয়ের পাশে থেকে সবসময় রাজনৈতিক সুপরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে গতিশীল করতে তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখে গেছেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহাদত হোসেন, রেজাউল ইসলাম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ইয়াসমিন রেজা ফেন্সি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মকিদুজ্জামান জুরাত, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য নফিকুল ইসলাম সেল্টু, হাবিবুর রহমান বাবু, আশরাফ উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান, মজিবুর রহমান প্রমুখ।