পুঠিয়ার কলেজছাত্র খুনের তদন্তে অন্ধকারে পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় কলেজছাত্র হাসিবুর রহমান সাগরকে (১৯) খুনের রহস্য উদঘাটনে কোন অগ্রগতি হয়নি। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে অন্ধকারে পুলিশ। গত শুক্রবার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর রেললাইনের ধার থেকে সাগরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পুঠিয়া উপজেলায় হলেও এলাকাটি রাজশাহী মহানগর পুলিশের বেলপুকুর থানার অধীনে। আর রেললাইনটি পড়েছে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার অধীনে। তাই গত শুক্রবার ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন নিহত হাসিবুরের মা হাসি বেগম। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করছেন।
তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে রোববার বিকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কর্মকার বলেন, ‘এখনও বলার মত কোন অগ্রগতি নেই। কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাও এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কাজ চলছে।’
নিহত হাসিবুর বেলপুকুর গ্রামের সাহাদ আলীর ছেলে। তিনি বেলপুকুর আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ঈদের পরদিন বুধবার তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নাটোরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেদিন সন্ধ্যা থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপর শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়ির পেছনেই রেললাইনের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। মাথায় আঘাত করে হাসিবুরের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদন করার পর জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার মূল তদন্ত করছে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ। তবে ছায়াতদন্ত করছে বেলপুকুর থানা পুলিশ। বেলপুকুর থানা পুলিশও এই হত্যাকাণ্ডের কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। বেলপুকুর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘রেল পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরাও তদন্ত করছি। কিন্তু এ পর্যন্ত এই বিষয়ে কোন তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। আমরা চেষ্টা করছি।’