সুপারভাইজারের হাতটি পড়ে রইল নাটোরে

স্টাফ রিপোর্টার: নাটোরের বনপাড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণে বাঁচলেও নিজের একটি হাত হারিয়েছেন রবিউল ইসলাম (৩৮)। তিনি সিয়াম স্পেশাল পরিবহনের সুপারভাইজার ছিলেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির একটি হাত কাটা পড়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রবিউলের স্ত্রী সাজেদা বেগম।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর আহত রবিউলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার ঝলমলিয়া সেনভাগ গ্রামে তাঁর বাড়ি। হাসপাতালেই রবিউলের স্ত্রী সাজেদা বেগমের সাথে কথা হয়।
তিনি জানান, নাটোরে আমেনা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয়রা তার স্বামীকে রামেক হাসপাতালে এনেছেন। খবর পেয়ে তিনি এখানেই এসেছেন। এসে দেখছেন, তার স্বামীর একটি হাত নেই।
সাজেদা জানান, তার ছোট ছোট দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে আরিফ হোসেনের বয়স ৫। ছোট ছেলে আব্দুর বারির বয়স ৩। স্বামীই ছিলেন তাদের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। বাসের আয় দিয়েই তাদের সংসার চলত। তাদের জায়গা-জমি কিছুই নেই। এখন স্বামীর সংসার কীভাবে চলবে, সংসারের খরচ মিটবে কীভাবে -এসব ভেবে কূল পাচ্ছেন না।
সাজেদা জানান, দুর্ঘটনায় কনুইয়ের ওপর থেকে রবিউলের বাম হাত কাটা পড়েছে। হাতের বিচ্ছিন্ন অংশটুকু ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল বলে তিনি শুনেছেন। এছাড়া রবিউলের পায়ে ও হাতে মারাত্মক জখম রয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন, রবিউলের সুস্থ হতে সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, নাটোরের বনপাড়ায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত ২০ জন। আহতদের মধ্যে শুধু রবিউলকে রাজশাহীতে আনা হয়েছে।