ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে সন্তান প্রসব করলেন নারী

  • আপডেট: Friday, May 6, 2022 - 9:06 pm

 

সোনালী ডেস্ক: ঈদের ছুটি শেষে রাজশাহীর সিল্কসিটি ট্রেনে করে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন অন্তঃসত্ত্বা পারুল আক্তার। ট্রেন টাঙ্গাইলে পৌঁছালে প্রসব বেদনা শুরু হয় তাঁর। তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন। তাঁর সন্তানেরা ছোটাছুটি করতে থাকে। পাশের সিটেই বসা ছিলেন দাউদকান্দির অ্যাপোলো প্লাস হাসপাতালের নার্স আলিফা সুলতানা সীমা। তাঁর প্রচেষ্টায় চলন্ত ট্রেনেই ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন পারুল।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। রেলওয়ের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সফিকুল রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, পারুল আক্তার রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে তাঁর আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।

নার্স আলিফা সুলতানা সীমা বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে আমি এগিয়ে যাই। প্রথমে তিনি কিছুটা ভয় পেলেও আমি অভয় দিয়ে বলি আমি একজন নার্স, আমি এর আগেও বাচ্চা প্রসব করিয়েছি। ট্রেনে আলাদা জায়গা ছিল না। আমি আশপাশ থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলি। কিছু যাত্রীকে সরিয়ে জায়গাটা খালি করি এবং ওড়না দিয়ে ঢেকে ডেলিভারির কাজ সম্পন্ন করি। নবজাতক-মা দুজনেই সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি খুবই খুশি।’ সীমা বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী আমাকে বলেছেন, ‘‘আমি খুবই খুশি। আমার মনে হচ্ছে আল্লাহ আপনাকে পাঠিয়েছে।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ট্রেন থেকে পারুল ও তাঁর বাচ্চাকে নামানোর পরে রেলওয়ের কর্মকর্তারা বাচ্চাটির দুটি নাম প্রস্তাব করেছেন। একটি সিল্ক আর অন্যটি রাজ। সিল্কসিটি ট্রেনের নাম অনুসারেই এই নাম প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।

রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় চিকিৎসক কর্মকর্তা (ডিএমও) ডা. রিপন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে পারুলের সঙ্গে তাঁর আরও চারটি বাচ্চা ছিল। এটি তাঁর পঞ্চম সন্তান। তাঁর স্বামী একজন রিকশাচালক। ট্রেন থেকে নামানোর পরে তাঁদের প্রতিবেশীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালের সিনিয়র নার্সরা চেকআপ করেছেন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বাচ্চা এবং মা দুজনই সুস্থ আছেন।’