ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১২:৪৯ অপরাহ্ন

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ২

  • আপডেট: Friday, May 6, 2022 - 11:05 pm

স্টাফ রিপোর্টার: লকডাউনের সময় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে এক মুদি দোকানিকে অপহরণের মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাজশাহীর একটি দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন- গোদাগাড়ীর গোগ্রাম গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (২৫) ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোছনাবাদ গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে আশিকুজ্জামান আশিক (২৬)। আশিক সেনাবাহিনীর বরখাস্ত হওয়া সিপাহী। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির রাজশাহী মেট্রোর পরিদর্শক আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের এপ্রিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে চলছিল ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। এই লকডাউনের মধ্যে ১৫ এপ্রিল দোকান খুলেছিলেন গোদাগাড়ীর গোগ্রামের মুদি দোকানি মো. আব্দুল্লাহ (৩২)। লকডাউনে দোকান খোলায় একটি প্রতারক চক্র ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয়ে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল।

ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, রাত পৌনে আটটার দিকে একটি মাইক্রোবাস তার দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে একজন লোক নামেন। তিনি নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন ভয়ে পালিয়ে যান। আব্দুল্লাহর বিকাশের ব্যবসা ছিল। তাঁর বাক্সে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। টাকাসহ তিনি আব্দুল্লাহকে গাড়িতে তুলে রাজশাহী শহরের দিকে রওনা দেন। ঘটনার সঙ্গে গোগ্রামের আলীমের জড়িত থাকার বিষয়টি মুদি দোকানীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরই স্থানীয়রা বুঝতে পারেন। রাতেই লোকজন আলীমের বাড়ি ঘেরাও করেন।

তারা আলীমের বাবা হোসেন আলীকে ধরে চাপ দিতে থাকেন। হোসেন আলী তখন তার ছেলের কাছে ফোন করেন। আব্দুল আলীম বিপদ বুঝতে পেরে অপহরণকারী আশিকের কাছে ফোন করেন। তার ফোন পেয়ে আশিক তখন আব্দুল্লাহকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। কিছু দূর এসে আশিক নিজেও গাড়ি থেকে নেমে যান। পরে রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা পুলিশ মাইক্রোবাসটিকে আটক করে। গাড়িতে তখন শুধু চালক মাসুম হোসেন ছিলেন। তাকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ। এ মামলারই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, মামলাটি তিনি তদন্তের দায়িত্ব পাবার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু একজন ভারতে পালিয়ে ছিলেন। অন্যজন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন। অবশেষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার এ দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।