ঢাকা | মে ১৯, ২০২৪ - ৫:০৯ পূর্বাহ্ন

ঈদ বিনোদনে পদ্মায় মানুষের স্রোত

  • আপডেট: Thursday, May 5, 2022 - 10:50 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: নির্মল বাতাসে একটু প্রশান্তির শ্বাস নিতে রাজশাহীর মানুষ ছুটে যান পদ্মা নদীর ধারে। ভরা মৌসুমে থৈ থৈ পানি, গ্রীষ্ণে ধু-ধু বালুচার, কাঁশবন। এসবের মাঝেই বিনোদনের খোরাক মেটান মানুষ। ঈদ, বাংলা নববর্ষ কিংবা অন্যান্য উৎসবগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই হারায় পদ্মার পাড়। এবার ঈদেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

রাজশাহীতে ঈদের সকালটা ছিল বৃষ্টিস্নাত। তবে দুপুরের পর থেকেই স্বাভাবিক হয়ে আসে আবহাওয়া। আর তখন থেকেই বিনোদনপ্রেমি মানুষের ঢল নামে পদ্মার পাড়ে। হাজার হাজার শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে শহরের দক্ষিণ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। ঈদের ছুটিতে রাজশাহীর সব বয়সী মানুষকেই কাছে টেনেছে পদ্মা।

বিনোদনপ্রেমি এসব মানুষের জন্য পদ্মার পাড়কে সাজিয়ে তুলেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। পদ্মার তীরে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন ওয়াক ওয়ে। প্রায় পুরো এলাকাটিতেই করা হয়েছে আলোর ব্যবস্থা। পদ্মার পাড়ে রয়েছে অসংখ্য রেস্তোরাঁ। ঈদের দিন ও পরের দিন এসব রেস্তোরাঁগুলোতেও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে গিয়ে সেখানে খাচ্ছেন। একটু বসার পর ঘুরে বেড়াচ্ছেন পদ্মার বালুচর কিংবা কাঁশবনে।

ঈদের ছুটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে নগরীর লালন শাহ মুক্তমঞ্চ এলাকায়। টি-বাঁধ, বড়কুঠি, পঞ্চবটি কিংবা ফুলতলার ঘাটেও জনস্রোত নামতে দেখা গেছে পদ্মার বালুচরের দিকে। ভরা মৌসুমে এসব এলাকায় মানুষ পদ্মার বুকে যেতেন নৌকা ভ্রমণে। এখন পদ্মা দূরে সরেছে। তাই লালন শাহ মুক্তমঞ্চ এলাকায় বালুচরে বিনোদনের জন্য রাসিক দিয়েছে বিচ বাইক। নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে বেশকিছু বিচ চেয়ারও। এসব চেয়ারে বসে কিংবা বিচ বাইকে চড়ে কক্সবাজারের স্বাদ নিয়েছেন অনেকে। সেখানে এ বছর শিশুদের নৌকা রাইডও দেখা গেছে। এই রাইডের দোলা শিশুদের মনে যোগ করেছে ঈদের আনন্দের নতুন মাত্রা।

লালন শাহ মুক্তমঞ্চ ঈদের দিন বিকালে ছোট্ট লামিয়া রহমানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন তার বাবা লুৎফর রহমান। তিনি বললেন, এ বছর সংস্কার কাজের জন্য শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখান বন্ধ। শিশুপার্ক চালু থাকলেও প্রতিমাসেই বাচ্চাকে নিয়ে সেখানে যাওয়া হয়। তাই এবার ঈদের ছুটিতে তাকে নিয়ে এসেছেন পদ্মার পাড়ে। বালুচরও ভীষণ পছন্দ লামিয়ার।

ঈদের বিকালে পদ্মার পাড়ে হৈ হুল্লোড়ে মেতেছিলেন রাজশাহী কলেজের একাদশ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের দিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়া চাই-ই চাই। এবার সবাই এসেছেন নদীর ধারে। তীব্র গরমের পর বৃষ্টিতে রাজশাহীর আবহাওয়া শীতল। বৃষ্টির পর বালুতে হাঁটতেও অন্যরকম ভাল লাগছে।