চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশুপার্কে উপচেপড়া ভিড়
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশ সাধনের জন্য প্রয়োজন চিত্তবিনোদন। এতে শুধু শারীরিক বিকাশই ঘটে না, মানসিক বৃদ্ধিও ঘটে সমানভাবে। আর এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মোখলেসুর রহমান তার নিজস্ব অর্থায়নে জোসনারা শিশু পার্ক নির্মাণ করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী বটতলা হাট সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে জোসনারা শিশু পার্ক। আর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জোসনারা শিশু পার্ক করে গত ১ মে উদ্বোধনের দিয়েই পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন পার্কটি চালু হওয়ায় শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চিত্তবিনোদনের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন এই শিশু পার্কে শিশুদের জন্য নাগরদোলা, ওয়ান্ডার হুইল, হানি সুইং, ম্যারি গো রাইড, প্যারাটুপার, জেট বিমানসহ থাকছে অসংখ্য রাইড। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার হুমায়ন কবীর, মোকসেদুল মোমেনসহ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, এতদিন আমাদের শহরে শিশুদের চিত্তবিনোদন কোন ব্যবস্থা ছিল না। পৌরসভার ভিতরে জোসনারা শিশু পার্ক নির্মিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। শহরের কাছাকাছি কোন পার্ক ছিলনা। এ পার্কটি নির্মাণের মধ্যদিয়ে কোন উৎসব বা বিশেষ করে ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটানোর একটা জায়গা তৈরী হলো। এতসুন্দর উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানায় মেয়রকে।
সুশিলসমাজের লোকজনসহ বিনোদনপ্রেমী মো. লোকমান ও মো. সাদরুল আমীন জানান, শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সাধনের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োাজন সুন্দর চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা। জোসনারা শিশু পার্ক কর্তৃপক্ষ যে ধরনের শিশু পার্ক নির্মাণ করেছে তা অকল্পনীয়।
তবে প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য যদি বিশেষ রাইডের ব্যবস্থা করত, তাহলে তা প্রতিবন্ধিবান্ধব এবং পরিবেশসম্মত হতো। বিষয়টি বিবেচনা করারও তাগিদ দিয়েছেন অনেকে। সময়ের প্রয়োজনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে বলে তারা আশাবাদী।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জোসনারা শিশু পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, সামাজিক জীব হিসেবে দায়বদ্ধতা থেকে এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমি একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে অনুধাবন করেছি ছুটি কিংবা কোন বিশেষ দিনে বাচ্চাদের নিয়ে বিনোদনের জন্য ঘুরতে যাবার জায়গা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় ছিলনা। পৌরবাসীর এ পার্কটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সে অভাবটা থাকবেনা। পার্কটি নবাবগঞ্জ পৌরবাসী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুন্দর মনোরম পরিবেশে এসে সময় কাটাতে পারবে। তবে এ পার্কটি আরও আধুনিক করতে সর্বদা প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, পার্কটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে পৌরবাসীর বিনোদনের জন্য দীর্ঘদিনের যে চাহিদা তা পূরণ হবে বলে আশা করছি। আর পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন থেকে জোসনারা শিশুপার্কে উপচে পড়া ভিড়ে শিশু এবং অভিভাবকরা বেশ বিনোদনে মেতে উঠেছে।