ঢাকা | মে ২, ২০২৪ - ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

ঘাটে ঘাটে চাপ, পথে পথে ভোগান্তি

  • আপডেট: Saturday, April 30, 2022 - 11:06 am

অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রী ও হালকা যানবাহনের চাপ বেড়েছে। শনিবার সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি সার্ভিস বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন সহস্রাধিক মোটরসাইকেল, চার শতাধিক প্রাইভেটকার ও তিন শতাধিক পিকআপ।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামাল হোসেন জানান, সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে অত্যাধিক। তবে আমাদের ব্যবস্থাপনা মতোই কাজ চলছে। তিনশত পিকআপ রয়েছে, তাদের পারাপার করা হচ্ছে না। যাত্রী, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ঘাটগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ৩ সহস্রাধিক মোটরসাইকেল ও ৪ শতাধিক প্রাইভেট-মাইক্রোবাস পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, যাত্রীর চাপ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে। যাত্রী পারাপারের ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫টি স্পিডবোট রয়েছে।

অন্যদিকে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে। লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের চাপে ধারণক্ষমতার দিগুণ যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। প্রতিটি লঞ্চে এভাবেই যাত্রীদের ঘরমুখী হতে দেখা গেছে। একটি লঞ্চ ১২০ জন যাত্রী নিয়ে নদী পার হওয়ার কথা থাকলেও দিগুণ যাত্রী নিয়ে পার হচ্ছে।

ভোর-সকালের দিকে একটু চাপ কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে যেসব যাত্রী ঘাটে আসছেন, তাদের কয়েক কিলোমিটার পায়ে হেটে লঞ্চ ও ফেরি পার হতে হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে দ্বিগুণ বাস ভাড়া দিয়ে ঘাটে আসতে হচ্ছে যাত্রীদের।

এছাড়া পাটুরিয়া মহাসড়কে গতকালের মতো আজও ব্যক্তিগত যানবাহন ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। তারপরও বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পেরে খুশি এসব যাত্রীরা।

বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি দিয়ে পারাপার সচল রাখা হয়েছে। লঞ্চ চলাচল করছে ২২টি। দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১০টার পর থেকে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। আজও দৌলতদিয়া মহাসড়কে ফেরি ও লঞ্চঘাটের লোকাল যাত্রী নিতে আসা বাস ও পণ্যবাহীসহ ৫ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। দূরপাল্লার বাস ও ছোট যানবাহন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ন পরিচালক (আরিচা) এস এম সানোয়র হোসেন জানান, ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বাড়ায় তারা লঞ্চ ও ফেরিগুলো স্বাভাবিক চলাচলে নদীতে মার্কিং পতাকা টাঙিয়েছেন। লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী না আসতে পারে সেজন্য তাদের দপ্তরের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টরা রয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগ কমাতে কাজ করছেন বলে জানান তারা।

সোনালী/জেআর