ঢাকা | মে ১৪, ২০২৫ - ৬:৫৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চাহিদা বেড়ে ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট

  • আপডেট: Thursday, April 28, 2022 - 8:26 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ে বরাবরাই। এবারাও এর বিপরীত হয়নি। এবার চাহিদা বেড়ে তৈরি হয়েছে সংকটের। এই সংকট দূর করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সরণাপন্ন হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তবে ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ডলার কেনার কারণে মোটা অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। অন্যদিকে মাস শেষের আগেই ঈদে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন-বোনাস দিতে হচ্ছে। ঈদের কারণে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়েছে।

এমন সব পরিস্থিতি সামাল দিতে ঈদের আগে টাকা ধার দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে সুদহার আগের চেয়ে বাড়তি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারের মাধ্যমে নগদ টাকার ঘাটতি মেটানোর সুযোগ দিতে আন্তব্যাংক মানি মার্কেট প্ল্যাটফর্মগুলো ২৯ ও ৩০ এপ্রিল খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ব্যাংকগুলো কলমানিতে ৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা হাতবদল করেছে। এতে গড় সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বুধবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫৯টি লেনদেন সম্পন্ন করে। কলমানি হলো এক দিন ও রাতের জন্য টাকা ধার। বুধবার টাকা ধার নিলে বৃহস্পতিবার দিন শেষে তা ফেরত দিতে হয়।

ব্যাংকগুলো কলমানি মার্কেটের বাইরেও এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে, যা আন্তব্যাংক রেপো নামে পরিচিত। এতেও সুদহার দিন দিন বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো ও অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রতিদিন গড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ধার দিচ্ছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এএলএস হিসেবে মোট ১৬টি ব্যাংককে ৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা ধার দিয়েছে। এর মধ্যে রেপোর সুদহার ছিল ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে এএলএস ধার দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের সুদহার বেঁধে দেওয়ায় ভালো অবস্থানে থাকা ধারদাতা ব্যাংকগুলো এখন কলমানির পরিবর্তে শর্ট নোটিশে ২ থেকে ১৪ দিন মেয়াদি ধার দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সুদহার ৯ শতাংশের বেশি।

বুধবার সবচেয়ে বেশি টাকা ধার দিয়েছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটি এক দিনে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে। এরপর সোনালী ব্যাংক দিয়েছে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, আইএফআইসি ব্যাংক দিয়েছে ৯০০ কোটি টাকা।

কলমানি থেকে বুধবার সবচেয়ে বেশি টাকা ধার করেছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটি এক দিনে ৯৫৩ কোটি টাকা ধার করেছে। এ ছাড়া, রূপালী ব্যাংক ৭৩০ কোটি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৬৮১ কোটি টাকা ধার করেছে।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS