বাগমারায় ইটভাটার গ্যাসে ৩শ বিঘার ফসল নষ্ট
স্টাফ রিপোর্টার: বাগমারার এক ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসের তাপে প্রায় ২শ’ বিঘার ধান শবজি নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় এমনি চিত্র। তবে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের বারবার খবর দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় প্রায় অর্ধশত ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার বেশির ভাগ নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার বিঘা ধান খেত নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা।
উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের চ.ক.ই. নামের একটি ইটভাটা রয়েছে। ফসলি জমির ওপর স্থাপিত এই ভাটার চারপাশে রয়েছে কৃষকের ধানের জমি ও ঘরবাড়ি, আম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছ। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় গাছের ফলে পচন ধরেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা অভিযোগ করেন, ইটভাটা থেকে নির্গত গরম বিষাক্ত গ্যাসের কারণে মাড়িয়া গ্রামে প্রায় ২শ বিঘা জমির ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ইট পোড়ানোর
কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইট পোড়ানো চেম্বারে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেন। গ্যাস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার বাতাস উত্তপ্ত হয়ে যায়। ইট ভাটার বিষাক্ত বাতাস যে দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সেই দিকের ফসলি জমির আধাপাকা ধান পুড়ে গেছে। ধান পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন গাছের ফল ও সবুজ পাতা ঝরে গেছে।
চ.ক.ই ইট ভাটার মালিক আব্দুস সোবহান বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাথে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করে দেখি ইটভাটার কারণে কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে কিনা অন্য কারণে। তিনি আরো বলেন, এখানে প্রায় ৪০ বছর ধরে ইটভাটা চালু আছে, আমার পরিচালনায় গত ১৩ বছর ধরে ভাটা চালু আছে। তবে এর আগে কখনো এরকম দুর্ঘটনা এই এলাকায় ঘটেনি।
এব্যাপারে রাজশাহী ৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, আমি ব্যাপারটা শুনেছি এবং দেখা যাক কি করা য়ায়।