চারঘাটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
চারঘাট প্রতিনিধি: চারঘাটে সুমন মল্লিক (৪০) নামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ঘোষপাড়া এলাকার একটি গম ক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুমন মল্লিক ওই গ্রামের মৃত মুকুল মল্লিকের ছেলে। চারঘাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার দুপুরের পর থেকে সুমন মল্লিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আত্নীয় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজি করছিল। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে যাবার সময় একটি গম ক্ষেতে সুমন মল্লিকের মরদেহ দেখতে পায়। স্থানীয়রা মরদেহ শনাক্ত করে বেঁচে আছে ভেবে গম ক্ষেত থেকে মরদেহ তুলে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমন মারা গেছে বলে নিশ্চিত করে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মখলেসুর রহমান মকা জানান, সুমন মল্লিক পেশায় একজন দিনমজুর। তবে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য খেয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে থাকতো। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে গম ক্ষেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
চারঘাট মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত ব্যক্তি নেশায় আসক্ত ছিল। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে আমরা বলতে পারবো এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নাকি হত্যা। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এক সপ্তাহের মধ্যেই একই ইউনিয়নে পরপর দুইটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী কানজগাড়ি গ্রাম থেকে আব্দুল মান্নান (৭০) নামে এক গ্রাম্য চিকিৎসকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তবে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনার এখনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।