ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১১:৪২ অপরাহ্ন

ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ফাঁসের পর সার্ভেয়ারের বদলি

  • আপডেট: Monday, April 25, 2022 - 11:34 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বৃদ্ধ কৃষকের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার ভিডিওচিত্র ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর তানোর ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার পুলক কুমার পোদ্দারকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানার সই করা এক আদেশে রোববার তাকে নাটোরের নলডাঙ্গা ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে সার্ভেয়ার পুলক কুমার পোদ্দারকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। ২৭ এপ্রিল তিনি তানোর ভূমি অফিস থেকে অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জমির খারিজ করে দেওয়ার জন্য এক বৃদ্ধ কৃষকের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা ঘুষ নেন সার্ভেয়ার পুলক কুমার পোদ্দার। এর একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে গত বৃহস্পতিবার। এ নিয়ে গত শনিবার সোনালী সংবাদে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

এতে উঠে আসে, তানোর উপজেলা সদর ও মুণ্ডুমালা পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের জায়গা বরাদ্দে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পুলক কুমার পোদ্দার। জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙিয়ে টাকা তুলছেন। এলাকার অনেকেই এ ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছেন।

তারা বলেছেন, একটি দোকানের জায়গার জন্য সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন সার্ভেয়ার পুলক। অনেকে টাকা দিয়েও জায়গা বরাদ্দ পাননি। যাঁর কাছ থেকে বেশি টাকা পাওয়া গেছে তাকেই জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সার্ভেয়ার পুলকের বদলি হয়ে যাওয়ায় টাকা দিয়েও জমি না পাওয়া ব্যবসায়ীরা এখন আরও অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

এদিকে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গত শুক্রবারই জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হককে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। রোববার তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে ডেকে সদ্য বদলি হওয়া সার্ভেয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনি কথা বলেছেন তানোরের ইউএনও পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথের সঙ্গেও।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মদ শরিফুল হক মঙ্গলবার দুপুরে জানান, পুলকের পোদ্দারের বদলির বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে তাঁর তদন্ত কাজ এখনও শেষ হয়নি। প্রাথমিক তদন্তেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর তিনি যে প্রতিবেদন দেবেন তার ভিত্তিতে পরবর্তীতে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।