যানজট-দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ১ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা
অনলাইন ডেস্ক: দেশে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বার্ষিক ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়, যা জিডিপির দুই শতাংশ। এছাড়া শুধু ঢাকায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে বার্ষিক এক লাখ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়, যা জিডিপির তিন শতাংশ। ফলে সড়ক দুর্ঘটনা-যানজটে বছরে মোট ক্ষতি এক লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ‘অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআরআই) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার।
রবিবার সকালে এআরআই আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামের সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪১ জনের মধ্যে এই সনদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’স ভিশন ফর রোড সেফটি প্রমোশন: পলিসি ল্যাপস-গ্যাপস দন্ড মুভিং টুয়ার্ডস ডিজাইনিং ইনটারভেনশন’ শীর্ষক প্রস্তাবনা পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মাহবুব। ট্রেনিং প্রোগ্রামের সার্বিক সহযোগিতায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিচার্স কাউন্সিল (এসএসআরসি)’।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত হিসেবে দেখতে হলে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমি চাইব যেন নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের ওপর যথাযথ গবেষণা করা হয়। গবেষণা ফল থেকে পাওয়া সুপারিশ প্রস্তাবনা আকারে যেন একনেকের টেবিলে আসে।
সভাপতির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে গবেষণা না করে বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় নিয়ে গবেষণা করতে হবে। ড্রাইভারদের লাইসেন্স দেওয়ার পর তাদের মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে ১০০ নম্বরের মধ্যে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা আইন না মানলে, নেগেটিভ মার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেই নম্বর ৪০ এর নিচে নামলে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। এইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া গেলে ড্রাইভাররা সচেতন হবেন। একইসঙ্গে ট্রাফিক সিস্টেমের উন্নয়ন করতে হবে। সর্বোপরি গণমাধ্যম, বিলবোর্ড ইত্যাদি মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সড়ক আইন মানার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে সেরা তিন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, ‘প্রপোজাল রাইটিং’-এ বিজন হালদার জয়, ‘কোশ্চেনেয়ার ডিজাইন’-এ মিজানুর রহমান এবং ‘প্রেজেন্টেশন’-এ রত্না খাতুন।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী এবং বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এআরআই পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।