ঢাকা | জুন ২, ২০২৫ - ১:৫৮ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় শিশু শাকিলাকে

  • আপডেট: Sunday, April 24, 2022 - 10:25 pm

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় শিশু দুই সহপাঠীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে শিশু শাকিলা আক্তারের খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে জড়িত বখাটে কিশোর জুয়েল রানাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, শিশুটিকে কৌশলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করে বখাটে জুয়েল রানা (১৭)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে সে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুনের বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক জুয়েল রানা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে। ঘটনায় শিশুটির বাবার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

অন্যদিকে নিহত শিশু শাকিলা আক্তার একই গ্রামের সাকের আলীর মেয়ে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে সন্ধ্যালগ্নে বাড়ির অদুরে একটি বাঁশঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে শিশুটির লাশ ময়নতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।

শিশু শাকিলার সহপাঠী জুনায়েদ হোসেন, তাওহিদ ইসলাম জানায়, শনিবার বিকেলে শাকিলাসহ তারা কয়েক বন্ধু মিলে খেলাধূলা করছিল। পরে তারা বাড়ি চলে গেলে শাকিলা একাই সেখানে থেকে যায়। যাওয়ার সময় ওই বাঁশঝাড়ের কাছে জুয়েল রানাকে ঘোরা ফেরা করতে দেখেছে। এরপর পর থেকে শাকিলাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানায় শিশুরা।

নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা জানান, ‘প্রতিবেশি আব্দুল বারীর বাড়িতে মিলাদের অনুষ্ঠান চলছিল। মিলাদের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন গ্রামের লোকজন। অনুষ্ঠানে আশপাশের শিশুরাও ছুটাছুটি করছিল। শাকিলাও তাদের সঙ্গে ছিল। এ জন্য তাকে চোখে চোখে রাখার তেমন প্রয়োজন মনে করিনি। সামান্য এ অবহেলায় নাড়িছেঁড়া ধনকে আজ হারাতে হলো। আমি জুয়েলের ফাঁসি চাই।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশীদ বলেন, শনিবার বিকেল ৪টার পর হঠাৎ করেই শিশুটি নিখোঁজ হয়। তাকে মিলাদ বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় ইফতারের সময় মিলাদ বাড়ির অদুরে একটি বাঁশঝাড়ে শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। শিশুটি সেখানে নগ্ন অবস্থায় পড়ে ছিল। মুখে ঢোকানো ছিল কাপড়। অবস্থা দেখে শিশুটির সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে বলেও ধারণা করেছিলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান বলেন, সন্দেহের সূত্র ধরে জুয়েল রানাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে খুনের বেশকিছু আলামত উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও বলেন, রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS