পুলিশের হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েও রক্ষা পায়নি মাদক ব্যবসায়ী
লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে পুলিশের হ্যান্ডকাপসহ পালিয়েও রক্ষা পায়নি মাদক ব্যবসায়ী শরিফুল। প্রায় সোয়া ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাকে আবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার লালপুর থানা পুলিশের এস.আই হিমাদ্রি ও এ.এস.আই শাহ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে নিয়োজিত ছিলেন। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন মাদক ব্যবসায়ী শরিফুল দুয়ারিয়ার কলসনগর এলাকায় মাদক বিক্রি করছে।
বিষয়টি লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোনোয়ারুজ্জামানকে অবগত করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদক ব্যবসায়ী শরিফুলের দেহ তল্লাশী করে ১শ’ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে তাৎক্ষনিক থানায় অবগত করা হয়। অতিরিক্ত ফোর্সসহ লালপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার কয়েক মিনিট আগেই সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীর স্বজনরা গাঁজাসহ শরিফুলকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালায়।
এর পরপরই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উক্ত এলাকায় প্রায় সোয়া ৪ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শরিফুলকে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাঁজাসহ আবার গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম কলস নগর গ্রামের হজরত আলী প্রামাণিকের ছেলে।
এছাড়াও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে হোসেনপুর গ্রামের মৃত ইজাহার আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৫) ও কলসনগর গ্রামের মৃত তফেন প্রামাণিকের ছেলে কাচু প্রামাণিক (৪২) কে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে বেআইনিভাবে সরকারি কর্মচারীকে কর্তব্য পালনে বাধাদানে পেনাল কোড আইনের অপরাধে থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাঃ মোনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।