চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে ৩.৬ শতাংশে নামবে
অনলাইন ডেস্ক: মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে যখন চাঙা হচ্ছিল বিশ্ব অর্থনীতি ঠিক তখনই আবার আঘাত হানল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সঙ্গে যোগ হয়েছে সংক্রমণের জেরে চীনের অন্তত ৪৫টি শহরে নতুন করে ঘোষিত লকডাউন।
এমন পরিস্থিতে মঙ্গলবার ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে বিশ্বের সরবরাহব্যবস্থা আবার ধাক্কা খেয়েছে। এর জেরে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগামী পারদই হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা। সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি আবার বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে।
আইএমএফের প্রথম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গীতা গোপীনাথ টুইট করে আরও জানান, ২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও ৩ মাস আগের পূর্বাভাস ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াতে পারে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ পূর্ব ইউরোপে মানবতার বড় সংকট তৈরি করেছে। দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। এতে রুশ অর্থনীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে পূর্বাভাস। কিন্তু সমস্যার এখানেই শেষ নয়। রাশিয়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০২২ সালে আগের পূর্বাভাসের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ১ শতাংশ কম হতে পারে মস্কোর জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় ইউনিয়নের। রাশিয়ার তেল, গ্যাস, ধাতু এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম ও ভুট্টার সরবরাহের অভাবে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। ভুগবে নিম্ন আয়ের মানুষ।
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হয়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলের ২ দশমিক ৮ শতাংশ, জাপানের ২ দশমিক ৪ শতাংশ ও চীনের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।