‘আগামীর পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত পানি ব্যবস্থাপনা’
স্টাফ রিপোর্টার: ‘আগামীর পরিকল্পনায় সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত পানি ব্যবস্থাপনায়। এটি কৃষি তথা সামগ্রিক উন্নয়নে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হবে। এর জন্য অঞ্চলভেদে আলাদা পরিকল্পনা প্রয়োজন। বরেন্দ্র অঞ্চলের মতো তীব্র খরাপ্রবণ এলাকার জন্য এক ধরনের, আবার বন্যাপ্রবণ হওরের ক্ষেত্রে আরেক ধরনের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ‘অংশগ্রহণমূলক বাজেটে জেলা পর্যায়ে জাতীয় এবং স্থানীয় চাহিদা নিরূপন’ বিষয়ক এক প্রাক বাজেট সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং পরিবর্তন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এর আয়োজন করে।
সংলাপে বক্তারা বলেন, দেশের কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ীদের চাপ মুক্ত রাখা গেলে যে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় রোধ করা যেতে পরে। করোনাকালে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এর সাথে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত থাকা বিশেষ জরুরি।
তারা আরও বলেন, রাজশাহীর স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা এই এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি এবং মাছ চাষের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ব্যয় কমিয়ে জনগণের ওপর ভ্যাট ও ট্যাক্সের বোঝা কমাতে হবে।
সংলাপে প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর এন.কে নোমান। বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান, মহিলা পরিষদের জেলার সভাপতি কল্পনা রায়, আদিবাসী নেতা এভারেস্ট হেমব্রম, প্রবীণ সাংবাদিক আহাম্মেদ সফিউদ্দিন, পরিবর্তনের পরিচালক রাশেদ রিপন, জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলার চেয়ারপার্সন মর্জিনা পারভীন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান দিল সেতারা চুনি, দিনের আলো হিজড়া উন্নয়ন সংঘের সভাপতি মোহনা, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়ক তন্ময় স্যন্যাল এবং টিআইবির সমন্বয়কারী মুনিরুজ্জামান।